
চলতি বছরের জানুয়ারিতে কানাডার মূল্যস্ফীতি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ শতাংশ বেড়েছে। ২০২০ সাল থেকে বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতির হার সামনের মাসগুলোতে আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে রেফিনিটিভ।
প্রতিষ্ঠানটির মতে, গত বছরের ডিসেম্বরে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল দশমিক ৭ শতাংশ। আর জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। এর আগে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল ২ দশমিক ২ শতাংশ।
এরপর থেকে জানুয়ারির আগ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি একবারই ১ শতাংশের ওপরে উঠেছিল এবং সেটা হয়েছিল নভেম্বরে। পণ্য মূল্যের নি¤œগামিতা যত দীর্ঘ হবে ব্যাংকঋণের নি¤œ সুদহারও তত দীর্ঘায়িত হবে। অর্থনীতি ঘুরে না দাঁড়ানো পর্যন্ত এবং মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রায় না পৌঁছানো পর্যন্ত সুদের হার দশমিক ২৫ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখার পরিকল্পনা করছে ব্যাংক অব কানাডা।
জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে গ্যাসোলিনের মূল্য বৃদ্ধির কারণে। স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে পণ্যটির দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ। তারপরও ২০২০ সালের জানুয়ারির তুলনায় গ্যাসোলিনের দাম এখনও ৩ দশমিক ৩ শতাংশ কম আছে। যদিও কোভিড-১৯ মহামারি ছড়িয়ে পড়তে থাকায় ওই সময়ই বৈশি^ক বাজারে চাহিদা মন্দার একটা আভাস পাওয়া যাচ্ছিল।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার হিসাবে, গ্যাসোলিন বাদ দিলে জানুয়ারিতে ভোক্তা মূল্য সূচক গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি ছিল।
তবে জ¦ালানির মূল্য গত বছরের সর্বোচ্চ অবস্থানে ফিরে যাবে বলে মনে করছেন টিডির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ জেমস মার্পেল। তিনি বলেন, ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারের বেশি মূল্য আগামী কয়েক মাসে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রাখবে।
বাড়ির মূল্য বেড়েছে বার্ষিক ৫ দশমিক ৮ শতাংশ, ২০০৭ সালের আগস্টের পর যা সর্বোচ্চ বৃদ্ধি। কনফারেন্স বোর্ড অব কানাডার অর্থনীতিবিদ আনা ফেং বলছেন, বাড়ির এ উচ্চ মূল্য কতদিন থাকে সেটা বলা মুশকিল। তবে এটা নিশ্চিত যে, চলতি বছর বাড়ির বাজার শক্তিশালী থাকবে, মূল্যস্ফীতি বাড়াতে যা ভূমিকা রাখবে।