বিষয়টি পুরো খোলাসাভাবে না জানানো হলেও আগামী সপ্তাহ থেকে ক্যুইবেক প্রদেশে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার অপরাহ্নে প্রদেশটি প্রিমিয়ার ফ্রাসওয়া লিগো জানিয়েছেন, সেজন্য মন্ট্রিয়লের সর্বত্র টিকাদান কেন্দ্র রয়েছে, যার অন্যতম হচ্ছে অলিম্পিক স্টেডিয়াম। তিনি বলেন, যাদের জন্ম ১৯৩৬ সালের আগে অর্থাৎ যাদের বয়স ৮৫ ঊর্ধ্ব, তারা বৃহস্পতিবার থেকে নিজেদের তালিকাবদ্ধ করতে পারেন। তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা প্রথম টিকা গ্রহণের পর কখন দ্বিতীয় টিকা দেয়া হবে, সেটি নিশ্চিত করবেন।
‘আমাদের আশাবাদ এখানেই’, জানিয়েছেন প্রিমিয়ার লিগো। তার ভাষায়, ‘আমরা সুরঙ্গের শেষ প্রান্তে আলোর সন্ধান পেয়েছি, তবে দূর ভবিষ্যতে কি হবে এখনই বলতে পারছি না।’ যারা ওই নির্দিষ্ট বয়সসীমার, তারা ‘ক্যুইবেক কোভিড-১৯ ভেক্সিনেশন ক্যাম্পেইন’ ওয়েবসাইটে বিস্তারিত জানতে পারবেন। একই সঙ্গে সরকার জনগণকে সতর্ক করে জানিয়েছে, যে কোনো ধরণের ইলেকট্রনিক যোগাযোগপত্রে কোনো ফি দেবার কথা থাকলে, তা যেন ‘কানাডিয়ান অ্যান্টি ফ্রড’ দপ্তরে জানানো হয়।
এছাড়া প্রিমিয়ার লিগো তার বক্তব্যে মার্চ ব্রেকে অর্থাৎ মার্চ মাসের ছুটিতে করোনার ‘তৃতীয় ঢেউ’ নিয়ে কথা বলেন। সেজন্য জনগণকে সতর্কাবস্থায় থাকার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের নির্দেশনাগুলো মেনে চলার আহ্বান জানান। তার ভাষায়, ‘আগামী সপ্তাহে মার্চ ব্রেক। সেটা আমাদের উদ্বেগের কারণ। তৃতীয় ওয়েভ থেকে রক্ষা পেতে আমাদের সকলকে জনসমাবেশ এড়িয়ে চলতে হবে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আমরা অরক্ষিত বা আক্রম্য পর্যায়ের মানুষকে টিকাদান সম্পন্ন করবো। আমরা যেন সে চেষ্টাটি চালিয়ে যাই, আমরা সে প্রত্যাশায় রয়েছি।’
ওই প্রেস কনফারেন্সে এ কথাগুলো বলার সময় প্রিমিয়ারে সঙ্গে ছিলেন প্রদেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান দুবে ও জনস্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হোরাসিও আরোধা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুবের কথা, ‘সব কিছু ঠিক থাকলে আমরা ৯০ দিনের মধ্যে টিকাদান সম্পন্ন করতে পারবো। তবে ৩২০০ প্রশিক্ষিত কর্মীর সঙ্গে মে মাস নাগাদ আরও ১০০০ কর্মী প্রয়োজন।’
এ পর্যন্ত প্রিমিয়ার ভাষ্যানুযায়ী ক্যুইবেকের সব কেয়ার হোম তথা ‘সিএইচএসএলডি’র বাসিন্দা এবং ২ লাখ কর্মীকে টিকা দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, এরপর ৭০-৮৪, ৬০-৬৯ এবং ষাটের নিচের কম বয়সী অরক্ষিত বা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকাদের টিকাদান চলবে।