আ্যাপার্টমেন্টে পাওয়া অবৈধ ওষুধ সেবনে চৌদ্দ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যুর দায় অভিভাবকের উপর চাপিয়েছে টরন্টো পুলিশ। জানা গেছে, এতে গত বছর মে মাসে টরন্টো পুলিশ ও চাইল্ড অ্যান্ড ইয়ুথ অ্যাডভোকেসি সেন্টার (সিওয়াইএসি) এ যৌথ অনুসন্ধানটি পরিচালনা করে। পুলিশের ভাষ্যে প্রকাশ, ওই কিশোর তার অভিভাবকের পাশাপাশি অপর এক দম্পতির সঙ্গে একটি অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করতো এবং সে সেখানে প্রাপ্ত ওষুধ সেবনে মারা যায়। তার মরদেহ পরীক্ষায় শারীরিকভাবে বিষাক্ত ফেন্টানিল, হেরোইন ও কোকেন জাতীয় পদার্থের উপস্থিতি মিলে।
গত সোমবার অপরাহ্নে টরন্টো পুলিশের সেক্স ক্রাইম ইউনিট থেকে প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি বলা হয় যে, ‘বিশদ অনুসন্ধান শেষে এবং অ্যাটর্নি জেনারেল ও টরন্টো পুলিশের হোমিসাইড ইউনিট পারস্পরিক পরামর্শে কিশোরের মৃত্যুর দায় অভিভাবকের উপর চাপানো পাশাপাশি তাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়।’ তাদের উভয়ের বিরুদ্ধে এ বছরের জানুয়ারি মাসে যথাক্রমে ‘ক্রিমিনাল নেগলিজেন্স কজিং ডেথ’ এবং ‘ফেইল টু প্রোফাইড নেসেসারিজ অব লাইফ’ শিরোনামভুক্ত দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের উভয়কে এ বছরের ৬ এপ্রিল দুপুর দু’টায় ১৯১১ এগলিন্টন অ্যাভিনিউ ইস্টে অবস্থিত অন্টারিও কোর্টে অব জাস্টিসে বিচারকের মুখোমুখি করা হবে। অবশ্য ওই অভিভাবকদ্বয় কিংবা ওই কিশোরের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
ওই কিশোরের মৃত্যুর তদন্তে প্রথমবারের মতো ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত শিশু প্রবঞ্চনার ক্ষেত্রে অনুসন্ধানে সিদ্ধহস্ত ‘সিওয়াইএসি’ ইউনিট পুলিশের সঙ্গে অংশ নেয়। তবে ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তি শেষে বলা হয়েছে, সিটির সর্বত্র ‘ওপিওড’-এর ব্যবহারে ব্যক্তি ও পরিবার আক্রান্ত। সকল ঘটনার মতো এই ঘটনায় ফলাফল ভয়াবহ। যদি ‘ওপিওড’ ব্যবহার সম্পর্কিত কেউ কিছু জানেন, তবে দেরি না করে যথাযথ সহযোগিতা নিন।