
অন্টারিও সরকারের নতুন কেন্দ্রীয় ক্রয় পদ্ধতির কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর (পিপিই) পর্যাপ্ত মজুদ। মহামারির আগ পর্যন্ত এটি অব্যাহত ছিল বলে জানতে পেরেছে একটি স্বাধীন কমিশন।
পিপিই সংকটের প্রভাব লং-টার্ম কেয়ার হোমগুলোর ওপর কেমন ছিল কমিশনের সামনে সেই ব্যাখ্যা দেন প্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিস্টিন এলিয়ট। তিনি বলেন, নতুন পিপিই মজুদের প্রত্যাশা ছিল সরকারের। কিন্তু ক্রয় পদ্ধতিতে পরিবর্তনের কারণে সেটা যে আটকে যাবে, সে ব্যাপারে আমি অবগত ছিলাম না।
কমিশনের জানা মতে, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বিপুল পরিমাণ পিপিই ২০১৯ সালের ডিসেম্বরেই ধ্বংস করে ফেলা হয়। প্যানেলের কো-কাউন্সেল জন ক্যালাঘান বলেন, সে সময় কেবল ১০ শতাংশ পিপিই অবশিষ্ট ছিল। সেগুলোও ছিল ইবোলার জন্য, করোনাভাইরাসের জন্য নয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে তিনি বলেন, মহামারি সামনে রেখে অন্টারিওবাসীর সুরক্ষায় যে পিপিই মজুদ করা দরকার সেই প্রস্তাব নিয়ে আপনি মন্ত্রিসভা অথবা অন্য কারও কাছে যাননি? আপনি কখনই যাননি এবং এ-সংক্রান্ত কোনো পরামর্শও দেননি?
জবাবে এলিয়ট বলেন, সে সময় এটা জরুরি ছিল না। কারণ পিপিই মজুদ করা হবে বলে সবারই ধারণা ছিল এবং সেটাই আমরা করছিলাম। কিন্তু কেন্দ্রীয় ক্রয় পদ্ধতি যে এটা শ্লথ করে দেবে, সেই ধারণা আমার ছিল না।
কোভিড-১৯ মহামারির সবচেয়ে বড় শিকার হয়েছে অন্টারিওর লং-টার্ম কেয়ার হোমগুলো। এখন পর্যন্ত কেয়ার হোমগুলোতে ৩ হাজার ৭৪৩ জন বাসিন্দা ও ১১ জন কর্মী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ ধরনের পরিস্থিতি ভবিষ্যতে কিভাবে এড়ানো যায় তা নিয়ে ৩০ এপ্রিল প্রতিবেদন উপস্থাপন করার কথা রয়েছে কমিশনের।
ক্যালাঘান বলেন, স্বাস্থ্য সংকট শুরু হওয়ার সময় লং-টার্ম কেয়ার হোমগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পিপিই ছিল না বলে কমিশনের কাছে খবর আছে।
প্রত্যুত্তরে এলিয়ট বলেন, জীবনহানী দুঃখজনক। আমি মনে করি, সরকারের মধ্যে প্রত্যেকেই কিছুটা হলেও এর দায় অনুভব করেন।