
কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণে অন্টারিওতে ইনডোর ও আউটডোর ডাইনিং চার সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে বলে খবর বেরিয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রদেশের রেস্তোরাঁ মালিকরা।
রেস্তোরাঁ মালিকরা বলছেন, অন্য ব্যবসা খোলা থাকলেও তাদেরকে ব্যবসা করতে না দেওয়াটা অন্যায়। উত্তর অন্টারিওর কেনোরায় দুটি রেস্তোরাঁ দ্য কর্নারস্টোন ও লগ কেবিন তাভেরিনের কর্ণধার পাম ভিনিকা বলেন, তারা কি করতে যাচ্ছে, আমার ধারণা, কেউই তা জানে না। এটা সত্যিই ভয়ের। যখন ১০০ জন কোভিড রোগী ছিল তখন লকডাউন দেওয়া হয়নি। এখন মাত্র ১১ জন রোগী থাকা সত্ত্বেও লকডাউন আরোপ করা হচ্ছে। আমার কাছে এটা হাস্যকর ছাড়া আর কিছু নয়। ওয়ালমার্টে ৩০০ গ্রাহক যেতে পারবে অথচ ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুইজনও যেতে পারবে না। এর কোনো মানে হয় না। ডাইনিংয়ে নিষেধাজ্ঞা দিলে ক্ষতির শিকার হবেন আমার ৩৫ জন কর্মী। নতুন করে নিয়োগও বন্ধ করতে হবে।
নতুন বিধিনিষেধ চূড়ান্ত মাত্রায় হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেন মার্ক কিচিং নামে আরেক রেস্তোরাঁ মালিক। এর ফলে তার ১৬ জন কর্মীর অধিকাংশকে ছাঁটাই করতে হবে বলেও জানান তিনি। মার্ক কিচিং বলেন, আমরা ব্যবসা বাড়ছিল। বিক্রি ২০১৯ সালের চেয়েও বেড়ে গিয়েছিল এবং সব কর্মীই কাজে ফিরেছিলেন। পাশাপাশি গ্রাহকরাও খুশী ছিলেন। কিন্তু এখন আবার আমাদেরকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হচ্ছে। যদিও রেস্তোরাঁ থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রতি এটা খুবই অন্যায় আচরণ।
গুয়েল্ফে চারটি এবং কিচেনারে একটি রেস্তোরাঁ আছে নেবারহুড গ্রুপ অব কোম্পানিজের। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কুর্ট দেসোটেলস বলেন, দুই সপ্তাহ আগে অন্টারিও বিধিনিষেধে পরিবর্তন আনার পর আমরা ছাঁটাই করা কর্মীদের ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি নতুন কর্মী নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলাম। নতুন করে বিধিনিষেধ আমাদের ওপর বড়সড় আঘাত। এর ফলে আমরা লোকসানের শিকার হব।
নতুন বিধিনিষেধ তার সংগঠনের কর্মীদের বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে মন্তব্য করেন রেস্টুরেন্ট কানাডার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টড বার্কলে। তিনি বলেন, রেস্তোরাঁ খোলার প্রস্তুতি হিসেবে গত দুই সপ্তাহে মালিকরা যে ব্যয় করেছেন সরকারের তা ফেরত দেওয়া উচিত। পাশাপাশি লকডাউন চলাকালে ভাড়া, পরিষেবা বিল ও অন্যান্য ব্যয়ও সরকারকেই বহন করতে হবে।