রয়্যাল কানাডিয়ান এয়ার ফোর্সের জন্য দশকব্যাপী নতুন ফাইটার জেটের অনুসন্ধানের অবসান হতে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে কিছু চ্যালেঞ্জ ও বিলম্ব সত্ত্বেও আগামী বছর এটির সরবরাহ আদেশ দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির শীর্ষ ক্রয় কর্মকর্তা।
বিমান বাহিনীর পুরনো সিএফ-১৮ এর স্থলে নতুন ৮৮ এয়ারক্রাফট সরবরাহে উড়োজাহাজ নির্মাতা তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দিয়েছে। সরকারি মূল্যায়নকারীরা এখন প্রস্তাবগুলো মূল্যায়নের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। এ বছরের শেষ দিকে মূল্যায়ন শেষ করে ২০২২ সালের মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানকে ক্রয়াদেশ দেওয়ার আশা করা হচ্ছে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রথম জেটটির এবং ২০৩২ সালে সর্বশেষটির সরবরাহ পাবে বলে আশা করছে রয়্যাল কানাডিয়ান এয়ার ফোর্স।
ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল ডিফেন্সের সহকারী উপমন্ত্রী ট্রয় ক্রসবি বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে সাম্প্রতিক কিছু অসুবিধা সত্ত্বেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই মূল্যায়ন শেষ করে আগামী বছর উপযুক্ত সরবরাহকারী নির্বাচনের ব্যাপারে কর্মকর্তারা সঠিক পথেই রয়েছেন।
যেসব জেটের জন্য দরপত্র জমা পড়েছে সেগুলো হলো লকহিড মার্টিনের এফ-৩৫, বোয়িংয়ের সুপার হরনেট এবং সাব গ্রিপেন। এর মধ্যে যেকোনো একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনে তড়িঘড়ি করছেন কর্মকর্তারা। কারণ, সিএফ-১৮ এর আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে আসছে।
এই শ্রেণির সর্বশেষ এয়ারক্রাফটি গত বছরই অবসরে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু নতুন জেটের ক্রয়াদেশ প্রদানে বিলম্ব হওয়ায় আরও এক দশক এগুলোকে উড্ডয়ন উপযোগী রাখতে বিনিয়োগ করেছে সরকার। এগুলোর উন্নয়নকাজ চলছে এবং এজন্য ব্যয় হবে ১৩০ কোটি ডলার।
১৮টি অস্ট্রেলিয়ান এয়ারক্রাফটের মধ্যে ১৫টির সরবরাহ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান ক্রসবি। এর মধ্যে তিনটি উড্ডয়ন করছে। বাকিগুলোর উন্নয়নকাজ এখনও চলমান আছে। কানাডার চাহিদা উপযোগী করা হচ্ছে এগুলো।