প্রথম বছরের কলেজ প্রোগ্রামে অংশ নিতে নাতালিয়া পিনজন গত মার্চে যখন টরন্টোগামী উড়োজাহাজে চেপে বসেন তখন কোয়ারেন্টিন বিধিবিধান সম্পর্কে ভালোমতোই অবগত ছিলেন। তবে কোয়ারেন্টিনের জন্য হোটেলে পৌঁছানোর পর যে অভিজ্ঞতা হলো ১৯ বছর বয়সী এ কলম্বিয়ানের কাছে সেটা একেবারেই অজানা। তার কাছ থেকে হোটেল কর্তৃপক্ষ যে বিল আদায় করে সেটি ছিল চারগুণ বেশি।
নাতালিয়া বলছিলেন, আমার ধারণা ছিল এক রাতের জন্য ৮০ ডলার পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু কোয়ারেন্টিন প্যাকেজে প্রতি রাতের জন্য বিল ধরা হয় ৩৬০ ডলার। অবস্থা এমন যে পাগল হওয়ার দশা।
কোয়ারেন্টিন নীতি চালু হওয়ার পর একই অভিজ্ঞতা হয়েছে কানাডায় প্রবেশকারী অপরাপর আন্তর্জাতিক যাত্রীদের বেলায়ও। কাজের জন্য ইউরোপে অবস্থানকারী কানাডিয়ান নাগরিক সুভিত ইয়ুং বলেন, কোয়ারেন্টিনের জন্য যে পরিমাণ অর্থ নেওয়া হচ্ছে তা ন্যায্য নয়। এটা অনেক বেশি।
থাকা, খাওয়া, বাড়তি নিরাপত্তা, পরিবহন ও বাড়তি পরিচ্ছন্নতার কারণে সরকার অনুমোদিত কোয়ারেন্টিন হোটেলগুলোতে চার্জ বেশি বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও ইয়ুংয়ের দাবি, খাবার ছাড়া আর কোনো বিশেষ সুবিধা তিনি হোটেল থেকে পাননি।
ইয়ুং এবং পিনজন উভয়েই বিমানবন্দরে অবতরণের ১২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড পরীক্ষার ফলাফল হাতে পান এবং দুজনেই নেগেটিভ হন। ইমেইলের মাধ্যমে ফলাফল জানার পর কার্যত তাদের আর হোটেলে থাকার প্রয়োজন ছিল না। তারপরও তিন রাতের হোটেল বিল পরিশোধ করতে হয় তাদের।
পিনজন বলছিলেন, কোভিডমুক্ত হওয়ার পরও কেন আমি তিন দিন হোটেল বিল পরিশোধ করব? এর কোনো মানে হয় না।
তিন রাত হোটেলে থাকতে হবে এই হিসাব করেই টরন্টোভিত্তিক কানেক্টিং ফ্লাইটের টিকিট কেটেছিলেন ইয়ুং। এ কারণেই তাকে বাধ্য হয়ে তিন দিনের হোটেল বিল পরিশোধ করতে হয়েছে।