
কাজের বাইরে থাকাকালে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি না মানলে অথবা অসুস্থ্য জানার পরও কাজে যোগদান করলে চাকরি হারানোর ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এমনটাই বলছেন এমপ্লয়মেন্ট নিয়ে কাজ করা আইনজীবীরা।
টরন্টোর অ্যাডভোকেশন প্রফেশনাল করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা হার্মি আব্রাহাম বলেন, কর্মক্ষেত্র নিরাপদ রাখার ক্ষেত্রে কর্মী ও নিয়োগকর্তা উভয়ের ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে আপনি যাতে কর্মক্ষেত্রে ভাইরাস বয়ে না আনেন সে ব্যাপারে। অধিকন্তু কর্মক্ষেত্রে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে সেটি যে তাদের সুনামের জন্য ক্ষতিকর নিয়োগদাতারা তা ভালো করেই জানেন। বিশেষ করে সেটি যদি হয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের মতো জন আস্থার ওপর নির্ভরশীল কোনো কারখানা।
কর্মক্ষেত্রের বাইরে অকর্মীসূলভ আচরণের কারণে চাকরি যাওয়ার বহু নজির রয়েছে বলে জানান আব্রাহাম। তবে কাজের বাইরে ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ প্রমাণ করাটা কঠিন বলে মনে করেন ক্যালগেরির ক্যাথেন ল’র রবার্ট এরিকসন। তিনি বলেন, কেউ যদি সেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে থাকেন তাহলেই কেবল সেটা জানা সম্ভব।
এর শাস্তি সম্পর্কে এরিকসন বলেন, কেউ যদি কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের সান্নিধ্যে থেকে কাজ করেন এবং তার অবসরের সময়ও ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে সুরক্ষার ব্যাপারে উদাসীন হন তাহলে চাকরি থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়াই হবে উপযুক্ত শাস্তি। কারণ এর ঝুঁকিটা অনেক বেশি।
তবে চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত অনেক ক্ষেত্রেই বাড়াবাড়ি বলে মনে করেন টরন্টোর গ্রসম্যান গেইল ফ্লেচার হপকিন্স এলএলপির অংশীদার জেফ হপকিন্স। তিনি বলেন, এ ধরনের কিছু ঘটলে সেক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে লিখিতভাবে সতর্কীকরণ। কর্মীকে তাদের কর্মকা-কে সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার জন্য এটা যথেষ্ট।
কর্মক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য বিধি কার্যকর করার বিষয়টি অফিস নীতিতে থাকলে নিয়োগদাতার ক্ষেত্রে তা সহায়ক হয় বলে মনে করেন ব্লেক, ক্যাসেলস অ্যান্ড গ্রেডন এলএলপির অংশীদার ড্যারিল কুকিয়েরম্যান।