নতুন কোভিড বিধি মানতে জনগণকে সচেতন করার ওপর জোর দেবে বলে জানিয়েছে অন্টারিও পুলিশ বাহিনী। মহামারির তৃতীয় ঢেউ মোকাবেলায় পুলিশকে বাড়তি ক্ষমতা দেওয়ার পর অন্টারিও পুলিশের পক্ষ থেকে সোমবার এ বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।
পুলিশকে বাড়তি ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়ে সলিসিটর জেনারেল সিলভিয়া জোন্সের শুক্রবারের বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অন্টারিওর বাসিন্দারা। সিলভিয়া জোন্স ওইদিন বলেন, স্টে-অ্যাট-হোম আদেশ বলবৎ থাকা অবস্থায় বাইরে গেলে যে কাউকে পুলিশ থামাতে ও বাইরে বেরোনোর কারণ জিজ্ঞেস করতে পারবে।
তবে আসা-যাওয়া পরীক্ষা করার নামে নাগরিকদের পুলিশ কর্মকর্তারা ইচ্ছামতো থামাবেন না বলে পরক্ষণেই জানিয়ে দেন টরন্টো পুলিশের প্রধান। একদিন পর সিদ্ধান্ত সংশোধন করে সরকার। নতুন নিয়মে বাইরে বেরোনো কাউকে যদি পুলিশ থামায় তাহলে তার পেছনে অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকতে হবে। বাড়ির বাইরে বেরোতে নাগরিকদের ভয়ের কিছু নেই বলে সোমবার জানিয়েছে অন্টারিও অ্যাসোসিয়েশন অব চিফস অব পুলিশ।
অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র জো কুটো এক সাক্ষাৎকারে বলেন, খেয়ালখুশিতো তল্লাশি করা আমাদের জন্য অকার্যকর, অপ্রযোগযোগ্য ও অনৈতিক। এ ধরনের কাজে আমরা আগ্রহী নই। বরং কোনো জায়গায় পাঁচজনের বেশি মানুষ জমায়েত হলে সেদিকে মনোযোগ দেবে পুলিশ।
নতুন কোভিড বিধিতে একই বাড়ির বাসিন্দা হলেও তাদের জন্য আউটডোরে জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে কেউ একা বসবাস করলে তিনি অন্য পরিবারের সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন। মাঠে খেলাধুলা ও গল্ফ কোর্সসহ আউটডোরে সব ধরনের বিনোদনমূলক কার্যক্রমেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শিশুদের জন্য খেলার মাঠও বন্ধ থাকবে বলে শুক্রবার ঘোষণা করেছিলে সরকার। কিন্তু অভিভাবক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে শোরগোল তোলার পর সিদ্ধান্তটিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সীমান্তে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে আন্তঃপ্রদেশ যাতায়াত নিয়ন্ত্রণের কাজ সোমবারই শুরু করেছে পুলিশ। অন্টারিও পুলিশের মুখপাত্র বিল ডিকসন বলেন, কুইবেক ও ম্যানিটোবা সীমান্তের ১০টি স্থানে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে।