কোভিড রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতাল ব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়ছে। এ অবস্থায় কিছু রোগীকে কিংস্টনে পাঠাতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্কারবোরো হেলথ নেটওয়ার্কের একজন চিকিৎসক।
ডা. ক্রিস লাজোঙ্গাস নামে ওই চিকিৎসক শুক্রবার সকালে এক টুইটে বলেন, অনেক রোগীকে অন্টারিওর অন্যান্য হাসপাতালে পাঠানো সত্ত্বেও স্কারবোরোর আইসিইউগুলোর ধারণক্ষমতা ফুরিয়ে আসছে। এ ধরনের খারাপ পরিস্থিতি গত ১০ বছরে আমি দেখিনি। ফলে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা বাড়াতে বাধ্য হয়েছি আমরা। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।
এর ঘণ্টাখানেক পর আরেকটি টুইট করেন ডা. লাজোঙ্গাস। সেখানে হাসপাতাল কর্মীরা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে কীভাবে রোগীদের অন্যত্র পাঠানোর চেষ্টা করছেন সে তথ্য উল্লেখ করেন তিনি। টুইটে বলেন, আমরা এখন আইসিইউ রোগীদের কিংসটনে পাঠাচ্ছি। শীতে রোগী বাড়ার স্বাভাবিক যে গতি এটা সেরকম নয়।
লাজোঙ্গাস বলেন, গত দুই সপ্তাহে ১০ জন আইসিইউ রোগীকে ওশাওয়া, আয়াক্স ও পিটারবোরোতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেটার টরন্টো এরিয়ার হাসপাতালগুলোতে সামান্য যে সক্ষমতা অবশিষ্ট আছে, শিগগিরই তা পূরণ হয়ে যাবে।
স্কারবোরো হেলথ নেটওয়ার্কের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের প্রধান ডা. মার্টিন বেটস বলেন, ভাইরাসের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ঘটেছে স্কারবোরোতে এবং এখানকার তিনটি হাসপাতাল নেটওয়ার্কের আইসিইউগুলোতে ৩০০ রোগী ভর্তি হয়েছেন। শুধু স্কারবোরোতে নয়, কয়েক সপ্তাহ ধরে পুরো গ্রেটার টরন্টো এরিয়াতেই আইসিইউ ব্যবস্থা চাপের মধ্যে আছে। নিজেদের সক্ষমতা দিয়েই রোগী ব্যবস্থাপা করতে চাই আমরা। তবে সব রোগী যাতে সর্বোত্তম সেবাটি পেতে পারে সেজন্য সময় সময় কিছু রোগী অন্যান্য হাসপাতালে পাঠাতে হচ্ছে।
এনডিপির স্কারবোরো সাউথওয়েস্টের এমপিপি ডলি বেগম বলেছেন, স্কারবোরোতে এ সমস্যার একটি ন্যায়সঙ্গ সমাধান দরকার। এ নিয়ে আলোচনার জন্য টাউন হল মিটিংও ডেকেছেন তিনি।
কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বাড়তে থাকায় কয়েক সপ্তাহ ধরেই শঙ্কার কথা বলে আসছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গত ৭ জানুয়ারি অন্টারিও হেলথের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সব হাসপাতালের প্রধান নির্বাহীদের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে রোগী ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চিকিৎসা দেওয়ার আহ্বান জানান।