মহামারি দ্বিতীয় বছরে পড়ায় দিনকাল কেমন যাচ্ছে, তা নিয়ে কাছের এক বন্ধুর সঙ্গে আলাপ করছিলেন আয়শা আদ্দো। বন্ধুকে অনেকটা খোলাখুলিই বলছিলেন, কেমন যেনো বিষন্নতার মধ্যে আছি এবং এ থেকে বোরোতে পারছি না।
পাওয়ার টু গার্লস ফাউন্ডেশন নামে অলাভজনক একটি সংস্থাও গড়ে তুলেছেন আদ্দো। তিনি বলছিলেন, আমরা সবাই প্রায় একই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। কাউকে কাউকে হয়তো এর চেয়েও বেশি খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
কানাডিয়ানদের ওপর নতুন একটি সমীক্ষা চালিয়েছে লেজার অ্যান্ড দ্য অ্যাসোসিয়েশন ফর কানাডিয়ান স্টাডিজ। সমীক্ষার ফলাফল বলছে, মহামারি প্রলম্বিত হওয়ায় কারও কারও মানসিক স্বাস্থ্যের আরও অবনতি হয়েছে। অবস্থা বেশি খারাপ হয়েছে নারী, সিঙ্গেল প্যারেন্ট, কমূহীন ও নতুন অভিবাসীদের।
সমীক্ষা অনুযায়ী, পুরুষের চেয়ে বেশি সংখ্যক নারী বিশেষ করে ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীরা মানসিবক স্বাস্থ্য খারাপ বা খুব খারাপ হওয়ার কথা জানিয়ে০ছেন। সিঙ্গেল প্যারেন্টদের ৪০ শতাংশই তাদের মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ বা খুব খারাপ হয়েছে বলে মত দিয়েছেন।
বৈশি^ক সংগঠন ব্ল্যাক মমস কানেকশনের প্রতিষ্ঠাতা তানিয়া হেলস যেমনটা বলছিলেন, সন্তানদের ভার্চুয়াল লেখাপড়ার খোঁজ খবর রেখে বাড়ি থেকে কাজ করাটা অনেক বাবা-মার জন্যই কঠিন হচ্ছে। এর ওপর কৃষ্ণাঙ্গ বাবা-মায়েদের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত বর্ণবাদের বিষয়টি তো আছেই।
তার কথায়, মহামারিতে পুরুষের তুলনায় নারীরা কেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিশেষ করে সেই নারীরা যাদেরকে সন্তানের চাহিদা মেটাতে কর্মস্থল ছাড়তে হয়েছে। আপনি যদি সিঙ্গেল প্যারেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে তো আপনার কোনো অবসরই নেই।
নতুন করে লকডাউন ও বিধিনিষেধের কারণে মানসিক স্বাস্থ্য আরও খারাপ হতে পারে বলে মনে করেন অ্যাসোসিয়েশন ফর কানাডিয়ান স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট জ্যাক জেওয়াব। এর কারণ হিসেবে তিনি বন্ধু ও পরিজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করতে পারার কথা উল্লেখ করেন।
জ্যাক জেওয়াব বলেন, সরকারের জন্য এটা বিরাট একটা চ্যালেঞ্জ। মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় না নিয়ে নতুন করে লকডাউন ও কারফিউ জারির ফলে সংকট আরও ঘনিভূত হতে পারে।
২ থেকে ৩ জানুয়ারি ১ হাজার ৫২৩ জনের ওপর অনলাইনে জরিপটি চালানো হয়।