
অন্টারিওর কোভিড-১৯ হটস্পটগুলোর বাইরে যেমন ডারহাম, হল্টন, ওয়াটারলু ও অটোয়াতে কবে নাগাদ স্কুল খুলবে এবং এ-সংক্রান্ত পরিকল্পনা আগামী সপ্তাহে জানিয়ে দেওয়া হতে পারে। গ্রে-ব্রুস, কিংস্টন ও পিটারবোরোর মতো গ্রামীণ এলাকাগুলোর এক লাখের মতো শিক্ষার্থী সোমবার শ্রেণিকক্ষে ফেরার পর অন্টারিওর শিক্ষামন্ত্রী স্টিফেন লিচি এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, টরন্টো, পিল, ইয়র্ক, হ্যামিল্টন ও উইন্ডসর-এসেক্সের বাইরের এলাকাগুলোর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তও শিগগিরই আসছে। আগামী সপ্তাহের কখন ও কোন এলাকার স্কুল খোলা যায় সে নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পরামর্শ মোতাবেক।
তবে যুক্তরাজ্য থেকে আসা করোনাভাইরাসের বি১১৭ ধরনটির উপস্থিতি এবং জরুরি অবস্থার কারণে সংক্রমণের গতি হ্রাস পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সময়সীমায় কিছু পরিবর্তন আসতে পারে বলেও জানান তিনি। স্টিফেন লিচি বলেন, দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। কিন্তু আমাদের অঙ্গীকার হলো শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখতে সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা।
টরন্টো, পিল, ইয়র্ক, হ্যালিটন ও উইন্ডসর-এসেক্সের বিদ্যালয়গুলো ১০ ফেব্রুয়ারির আগে না খোলার নির্দেশ দিয়েছে অন্টারিও সরকার। তবে উত্তরাঞ্চলের স্কুলগুলোতে ১১ জানুয়ারি থেকে সশরীরে পাঠদান শুরু হয়েছে। আর বিশেষ শিশুদের জন্য সব অঞ্চলের বিদ্যালয়েই সারা মাস সশরীরে পাঠদান চলেছে।
স্কুল খোলার পর বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে মাস্ক পরার প্রয়োজন পড়বে। এছাড়া সার্ভিল্যান্স টেস্টিং কর্মসূচির আওতায় প্রতি সপ্তাহে হাজারো শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাকে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করাতে হবে। সার্ভিল্যান্ড টেস্টিং কর্মসূচিটির ঘোষণা ২০২০ সালের গ্রীষ্মেই দিয়েছিল ফোর্ড সরকার। তবে ডিসেম্বরের আগে এটি শুরু করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে এই শিক্ষাবর্ষের জন্য বিদ্যালয়গুলোকে প্রস্তুত করতে ফোর্ড সরকার ৪৬ কোটি ডলার খরচ করেছে। পাশাপাশি ফেডারেল সরকারের কাছ থেকেও সহায়তা হিনেবে ৩৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পেয়েছে। এর বাইরে মজুদ তহবিল থেকেও ৫০ কোটি ডলার খরচ করতে স্কুল বোর্ডগুলোকে অনুমতি দিয়েছে সরকার। এছাড়া আগামী বছর শ্রেণিকক্ষের ভেন্টিলেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ফেডারেল সরকারের দেওয়া আরও ৩৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা করছে ফোর্ড সরকার।