
অন্টারিওর অধিকাংশ স্কুল কেন বন্ধ রাখা হয়েছে? সেগুলো খুলবেই বা কবে নাগাদ? ফোর্ড সরকারে এমন কেউ কি আছেন, যিনি এর সঠিক ও স্বচ্ছ ব্যাখ্যা দিতে পারবেন? অনেকের কাছেই প্রশ্নগুলো তোলার খুব বেশি প্রয়োজন নেই বলে মনে হতে পারে। কিন্তু অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষা খাতের কর্মীদের জন্য এটা বড় বিষয়। কারণ, হাজারো অভিভাবককে সন্তানদের বাড়িতে বসে পাঠ গ্রহণ ও নিজেদের কাজের মধ্যে একটা সমন্বয় করে চলতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও স্কুলে বসে পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর অনলাইনে পাঠদান পরিকল্পনা তৈরিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষকদের।
কবে নাগাদ এ অবস্থার অবসান হবে সেটি জানতে তাই উদগ্রিব হয়ে আছে সবাই। সেটা যদি নাও হয় তাহলে কবে নাগাদ স্কুল খুলবে, অন্তত সেটা জানতে চাইছে সবাই। কিন্তু পুরো বিষয়টিই এখনও রহস্যের চাদরে মোড়া।
চারটি জনস্বাস্থ্য ইউনিটের ২ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষার্থী ১ ফেব্রুয়ারি স্কুলে ফিরতে পারবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী স্টিফেন লিসি। এর অর্থ হলো ২০ লাখ শিক্ষার্থীর মাত্র এক-চতুর্থাংশ সত্যিকার অর্থে স্কুলে ফেরার সুযোগ পাচ্ছে। অন্যরা কেন নয়? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শেই নাকি এ সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তাহলে সেপ্টেম্বরে কেন অধিকাংশ স্কুল খুলে দেওয়া হলো। জানুয়ারিতে এসে কেনই বা আবার সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হলো?
প্রদেশের সব স্কুল খুলে দিতে হলে কী করতে হবে? সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্ন করা হয়েছিল অন্টারিওর চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. ডেভিড উইলিয়ামকে। যে উত্তরটি তিনি দিয়েছেন তা দীর্ঘ ও গোজামিলে ভরা।
অন্টারিও সরকার বারবারই আমাদের বলে আসছে যে, এখানে যা কিছু করা হচ্ছে তার সবই বিজ্ঞানকে ভিত্তি করে। যদি তাই হয়, তাহলে অন্টারিওর ক্ষেত্রে বিজ্ঞান নিশ্চয় অনন্য। কারণ, অন্য সব প্রদেশই স্কুল খুলে দিয়েছে। এমনকি মাথাপিছু সংক্রমণের হার অন্টারিওর চেয়ে বেশি এমন প্রদেশও একই পথে হেটেছে।
টরন্টো সিককিডস হসপিটালের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনেও নিরাপত্তামূলক বাড়তি পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে মত দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সমাজে স্কুলের দরজাটি সবার শেষে বন্ধ করা উচিত। এটি খুলে দেওয়াও উচিত সবার আগে। অটোয়া জনস্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. ভেরা এচিসও এরই মধ্যে প্রদেশের সব স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। সূত্র গ্লোব এন্ড মেইল।