বিদেশিদের মালিকানায় থাকা বাড়ি খালি পড়ে থাকলেও অর্থাৎ ব্যবহার না হলেও সেগুলোকে করের আওতায় আনতে যাচ্ছে লিবারেল সরকার। সোমবার ঘোষিত ফেডারেল বাজেটে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবও রেখেছেন অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড।
প্রস্তাব অনুযায়ী, অনাবাসী বা বিদেশিদের মালিকানায় থাকা আবাসন যদি খালিও পড়ে থাকে তাহলেও তার মূল্যের ওপর এক শতাংশ হারে জাতীয় কর প্রযোজ্য হবে। ‘ট্যাক্স অন আনপ্রোডাক্টিভ ইউজ অব কানাডিয়ান হাউজিং বাই ফরেন নন-রেসিডেন্ট ওনার্স’ শীর্ষক এ কর ২০২২ সাল থেকে কার্যকর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাজেটে। এর ফলে ২০২২ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত ৭০ কোটি ডলার রাজস্ব আহরণ হবে বলে প্রাক্কলন করেছে ফেডারেলে সরকার। কানাডিয়ান নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া আবাসিক ভবনের সব মালিককে ২০২৩ সাল থেকে তাদের বাড়ির বিস্তারিত তথ্য কানাডিয়ান রেভিনিউ এজেন্সিকে জানাতে হবে। পঞ্জিকাবর্ষের একটি ন্যূনতম সময় পর্যন্ত বাড়িটি ইজারা দেওয়া হলে বাড়ির মালিকরা কর থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন।
টরন্টো ও ভ্যাংকুভারের বাসিন্দারা এ ধরনের করকে হয়তো স্বাগতই জানাবেন। কারণ, এই দুই এলাকায় খালি বাড়ি নেই বললেই চলে এবং বাড়ি ভাড়াও বেড়েছে আকাশচুম্বি।
খালি বাড়ির ওপর সম্ভাব্য করের বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছেন টরন্টো সিটি কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই হয়তো এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। ফেডারেল সরকারের প্রস্তাবিত করের ফলে টরন্টোর এ কর ব্যবস্থা প্রভাবিত হবে কিনা সেটা এখনও পরিস্কার নয়।
এদিকে মহামারি থেকে জনগণ ও ব্যবসাকে বেরে করে আনতে বাজেটে কাজ করার যে কথা বলা হয়েছে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন টরন্টো মেয়র জন টরি। সোমবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতির মাধ্যমে বাজেট সম্পর্কে এ প্রতিক্রিয়া দেন তিনি।
তবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রস্তাবিত করের বিষয়ে অংশীজনদের মতামত প্রদানের সুযোগ দেবে সরকার। আবাসিক ভবনের সংজ্ঞা, করযোগ্য সম্পদের মূল্য, কোনো বাড়ির একাধিক মালিকানা থাকলে সেক্ষেত্রে কিভাবে এ কর প্রযোজ্য হবে এবং সম্ভাব্য অব্যাহতি নিয়ে আলোচনা হবে সেখানে। ছোট রিসোর্ট ও ট্যুরিজম কমিউনিটির ওপর কর আরোপের বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখবে সরকার।