
অন্টারিওর পার্থে নতুন বাড়িতে যেতে তাদের লাগার কথা বড় জোর দুই ঘণ্টা। কিন্তু চার সপ্তাহ ক্যানোয়িং শেষে নতুন বাড়িতে পৌঁছেছেন অবসরপ্রাপ্ত দুই শিক্ষক লেসলি হয়েল ও বেল এলজি।
জর্জটাইনের সাবেক এই বাসিন্দারা মালপত্র বাক্সে ভরে আগেই পার্থের নতুন বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এরপর তারা ৫০০ কিলোমিটার সুদৃশ্য পথ ক্যানোয়িংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। হয়েল বলেন, আমরা আজীবন ক্যানো চালক। আমরা কার্বনমুক্ত একটি দীর্ঘ ছুটি উপভোগ করতে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ অন্টারিওকে জানতে।
হয়েল ও এলজি তাদের জর্জটাইনের বাড়িতে বাস করেন ২২ বছর। তারা বলেন, অন্টারিওর নৌপথ ধরে তাদের নতুন বাড়িতে যাওয়ার রুটটি তুলনামূলক সোজা। ক্যানোয়িংয়ের ফলে মনে হচ্ছিল এটা বেশ আনন্দের এবং অবসরপ্রাপ্ত দুই আউটডোর শিক্ষাবিদের জন্য বেশ যুৎসই।
এলজি বলেন, দীর্ঘদিন যেখানে থেকেছি ও কাজ করেছি সে জায়গাটি ছাড়ার প্রস্তুতি নেওয়া সত্যিই খুব কষ্টের। আমরা যখন ক্যানোতে চাপলাম তখন আমরা ভষিণ আবেগপ্রবন, অবসন্ন ও ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। প্রথম দিন শেষে মনে হয়েছিল, আমাদের কাঁধ থেকে বিরাট একটা বোঝা নেমে গেলো।
হোয়েল ও এলজি তাদের যাত্রা শুরু করেছিলেন ২৮ জুলাই এবং তাদের অভিযাত্রার কথা নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাচ্ছিলেন। চতুর্থ দিনে তারা টরন্টোতে পৌঁছান। একদিন তারা ছয় ঘণ্টা ক্যানোয়িং করলে পরদিন করেন চার ঘণ্টা। আবহাওয়া খারাপ হলে কি করতে হবে সে লক্ষ্যও নির্ধারণ করেছিলেন তারা। যাত্রা পথে একাধিক স্থানে যাত্রা বিরতির আশাও করেছিলেন তারা।
৩১তম বিবাহ বার্ষিকীও পানিতেই উদযাপন করবেন তারা। তাদের পরিকল্পনা হলো প্রদেশটি নতুন করে আবিষ্কার করা, স্মৃতিচারণ করা ও ভবিষ্যত নিয়ে ভাবা। তবে তার আগে তাদের বাক্স-পেটরা নামাতে হবে আগে।