আগামী ফলে স্কুল খোলার পর পুরোপুরি ভ্যাকসিনেটেড শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা নিয়ম প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছেন প্রদেশের জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কিয়েরান মুর। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জনসমক্ষে প্রকাশের লক্ষ্যে স্কুলে ফেরার পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে ফোর্ড সরকার।
শিক্ষার্থী ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের জন্য ভ্যাকসিন নেওয়া বাধ্যতামূলক নয় বলে দাবি করে আসছেন কর্মকর্তারা। তবে ডা. কিয়েরান মুর মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, সংক্রমণ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি সামনে এলে ভ্যাকসিনেটেড ও আনভ্যাকসিনেটেড শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা নিয়ম চালু করা হবে। গত বছর সংক্রমণের সময় সমগ্র ক্লাস যেমন বাড়িতে আইসোলেট করে ফেলতে হয়েছিল এবার আর তেমনটা হবে না। পুরোপুরি ভ্যাকসিনেটেড শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা শ্রেণিকক্ষে ফেরার সুযোগ পাবেন।
ডা. মুর বলেন, উভয় ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণের পর ১৪ দিন হয়ে থাকলে এবং আপনি যদি কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে থাকেন তাহেল আমরা আপনাকে পরীক্ষার প্রস্তাব দেবো। পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ হলে আপনি সরাসরি স্কুলে ফিরতে পারবেন। সুতরাং, স্কুলে থাকতে, বিভিন্ন ক্রীড়ানুষ্ঠান ও সামাজিক কর্মকা-ে অংশ নিতে উভয় ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণের উপকারিতা অসাধারণ। তবে আপনি যদি পুরোপুরি ভ্যাকসিনেটেড না হয়ে থাকেন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন তাহলে আপনাকে স্কুল থেকে কমপক্ষে ১০ দিন দূরে রাখা হবে। পাশাপাশি আপনাকে দুই দফা পরীক্ষার মধ্য দিয়েও যেতে হবে। প্রথম পরীক্ষাটি হবে শুরুতে এবং দ্বিতীয়টি এর সাতদিন পর। দ্বিতীয় ডোজের ফলাফল যদি পজিটিভ আসে তাহলে আপনাকে আরও ১০ দিন স্কুল থেকে দূরে থাকতে হবে। অর্থাৎ ভ্যাকসিনেটেড না হওয়ার কারণে আপনাকে ২০ দিন পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষের বাইরে থাকতে হতে পারে।
ডা. কিয়েরান মুর এমন এক সময় আলাদা নিয়মের কথা ঘোষণা দিলেন যখন সেপ্টেম্বর স্কুল খোলার আগে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দুই ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণের দরজা বন্ধ হতে চলেছে। তবে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী অন্টারিয়ানদের মধ্যে ভ্যাকসিনেশনে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করেন ডা. মুর। তারপরও এই বয়স শ্রেণির ৩৫ শতাংশ অর্থাৎ আরও ৩ লাখ শিক্ষার্থীর ভ্যাকসিন নেওয়া বাকি আছে বলে জানান তিনি।
প্রাদেশিক উপাত্ত বলছে, অন্টারিওর তরুণদের মধ্যে প্রথম ডোজের চাহিদা কমে আসছে। জুলাই মাসে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণের চাহিদা ৫০০ শতাংশ বাড়লেও প্রথম ডোজ গ্রহণের চাহিদা বেড়েছে মাত্র ১৩ শতাংশ।