অন্টারিও সরকারের আলাদাভাবে পেইড সিক লিভ (বেতনসহ অসুস্থতাজনিত ছুটি কাটানো) কর্মসূচি চালুর কোনো কারণ দেখছেন না প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড। বিদ্যমান ফেডারেল কর্মসূচি কর্মীদের সুরক্ষায় যথেষ্ট নয়Ñএমন সমালোচনার পর এ মন্তব্য করলেন অন্টারিওর প্রিমিয়ার।
সোমবার বিকালে ডগ ফোর্ড যখন এ মন্তব্য করেন, তার ঠিক কয়েক ঘণ্টাখানেক আগে টরন্টোর স্বাস্থ্য বোর্ড এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন করে। প্রস্তাবটিতে অন্টারিও সরকারের প্রতি মহামারির মধ্যে কর্মীদের বেতনসহ ১০ দিনের অসুস্থতাজনিত ছুটি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডগ ফোর্ড বলেন, ব্যবস্থাটি যদি কাজ না করে তাহলে ফেডারেল সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলতে পারি। সুবিধাভোগীরা যদি মনে করেন যে সময়মতো সহায়তা পাচ্ছেন না সেক্ষেত্রে আমরা কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনতে পারি। সহায়তার পরিমাণ যদি তাদের কাছে অপর্যাপ্ত মনে হয় তাহলে আমরা এতে পরিবর্তন আনব। কারণ সপ্তাহে ৫০০ ডলার সত্যিই যথেষ্ট নয়। তবে একটা বিষয় পরিস্কার করে বলছি এবং তা হলো প্রদেশের আলাদা কর্মসূচি গ্রহণের কোনো কারণ নেই।
মহামারির শুরুর দিকে ফেডারেল সরকার কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য একটি কর্মসূচি চালু করে। কর্মসূচিটির আওতায় অসুস্থতাজনিত কারণে কেউ কাজে যোগ দিতে না পারলে তাকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত সপ্তাহে ৫০০ ডলার দেওয়া হয়।
তবে কর্মীদের সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে এ উদ্যোগ যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন অনেকে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, অনেক সময় সহায়তা পেতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যায়। তাছাড়া আবেদনকারীদের চাকরির নিশ্চয়তা দেয় না কর্মসূচিটি।
বিষয়টি নিয়ে সোমবার বিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন টরন্টোর মেয়র জন টরি। তিনি বলেন, সিক লিভ ইস্যুটি কোন সরকার সমাধান করবে সেটা বড় বিষয় নয়। বড় কথা হলো এটি আলোচনায় আনতে হবে। সে সঙ্গে কর্মীদের এ নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, অসুস্থতার সময়টাতে তারা তাদের বেতনের সমান বা এর কাছাকাছি পরিমাণ অর্থ পাবেন। এটা এখন করতে হবে। এ নিয়ে কতবার যে বৈঠক করেছি আমি নিজেও তা ভুলে গেছি। এটা ঠিক নয় এবং এর একটা সমাধান আমাদের করা উচিত।
এক্ষেত্রে প্রাদেশিক সরকারের ভূমিকা রাখা প্রয়োজন বলেও মনে করেন জন টরি। তবে কর্মীদের অসুস্থতাকালীন সময়ে বেতন পাওয়ার ক্ষেত্রে তার সরকারের কোনো ভূমিকা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন ডগ ফোর্ড।
কানাডার শ্রমজীবী মানুষদের মাত্র ৪২ শতাংশ বর্তমানে পেইড সিক লিভ সুবিধা পাচ্ছেন। তবে কম মজুরি ও ফ্রন্ট-লাইন কর্মীদের মধ্যে এ হার ১০ শতাংশ।