অপ্রয়োজনীয় বর্হিবিশ্ব ভ্রমণকারীরা শীঘ্রই কানাডায় প্রত্যাবর্তনকালীন ৭২ ঘন্টার হোটেলে অবস্থানের বাধ্যবাধকতাপূর্ণ মানদন্ডের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে পাবলিক হেলথ্ এজেন্সি অব কানাডা তথা কানাডার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা বর্হিবিশ্ব থেকে ফিরে আসা ভ্রমণকারীদের তিন দিনের বাধ্যতামূলক আবাসন প্রদানের ক্ষেত্রে আগ্রহী হোটেলগুলোর জন্য একটি সুস্পষ্ট নিয়মনীতি আরোপ করতে যাচ্ছে।
সেটা সরকারের ‘কানাডাডটসিএ’ ওয়েবসাইটের ‘করোনাভাইরাস ডিজিজ (কোভিড-১৯)’ বিষয়ক ‘ট্রেভেল অ্যাডভাইস’-এর অধীনে ‘কোভিড-১৯ ম্যান্ডেটরি ত্রি-নাইট হোটেল স্টেইস: অ্যাপ্লাই টু বি লিস্টেড হোটেল’ ম্যানুতে বিশদ জানা যাবে।
এতে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি কানাডা সরকার ঘোষিত বিস্তৃত পরীক্ষণ ও আত্মঅন্তরীণ অর্থাৎ টেস্টিং ও কোয়ারেন্টিন বিষয়গুলো পরিপূর্ণ অর্থে কার্যকর হতে যাচ্ছে; যেখানে ‘প্রি-ডিপার্চার’ বা ভ্রমণের পূর্বাহ্নে আরোপিত পরীক্ষণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট।
এছাড়া মওকুফবিহীন বিমানযাত্রীদের সকলকেই কানাডায় অবতরণকালীন ‘কোভিড-১৯ মলিকিউলার টেস্ট’ করাতে হবে এবং আগে থেকেই বুকিং দেয়া হোটেলে পরীক্ষণের ফলাফল না আসা পর্যন্ত তিন দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে হবে।
আর সেই হোটেলগুলো হতে হবে কানাডার ৪টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, তথা ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ভ্যানকুভার, আলবার্টার ক্যালগেরি, অন্টারিওর টরন্টো পিয়ারসন ও ক্যুইবেকের মন্ট্রিয়ল-ট্রুডো বিমানবন্দরের কাছাকাছি হতে হবে। আর এই হোটেলগুলো বর্হিবিশ্ব থেকে ফেরত আসা যাত্রীদের জন্য আবাসন, চেক-ইন/চেক-আউট, যাতায়াত, খাদ্যসামগ্রী ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা রাখবে। কেবলমাত্র কানাডার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা, সংক্ষেপে ‘পিএইচএসি’ কর্তৃক এই হোটেলগুলো প্রয়োজনীয় আবেদন ও অনুমোদন শেষে তালিকাভুক্ত হবে, যাতে যাত্রীরা আগে থেকে নিজ খরচে বুকিং দিতে পারেন।
তবে এই বিধি-বিধান, বিশেষত করোনা ভাইরাসের অতি সংক্রামক ‘ভেরিয়্যান্ট’-এর প্রার্দুভাবে সীমান্তে অনুপ্রবেশকালীন কখন থেকে কার্যকর বা আরোপ হতে যাচ্ছে, তা সুনির্দিষ্ট করে এখনও বলা হয়নি।