একশ বছরে পা দিলেন মিসিসগার সাবেক মেয়র হ্যাজেল ম্যাকক্যালিয়ন। এ উপলক্ষ্যে রোববার সকালে ম্যাকক্যালিয়নের মিসিসগার বাসভবনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ফিলোপ্যাটিয়ার ক্রিস্টিয়ান কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। সেখানে শতবর্ষী সাবেক এ মেয়রকে শুভেচ্ছা জানান তারা।
গোলাপি রঙের কেক কেটে, জন্মদিনের ব্যানার টানিয়ে ম্যাকক্যালিয়নের জন্মদিন পালন করা হয়। উৎসব চললেও কোভিড-১৯ মহামারির কারণে মাস্ক পরতে ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে ভোলেননি অনুষ্ঠানে যোগদানকারীরা। বাড়ির বাইরে এ জমায়েতকে ভালোবাসা দিবসে তার জন্মদিনের বিশেষ উপহার বলে মন্তব্য করেন ম্যাকক্যালিয়ন। তিনি বলেন, এর অর্থ ব্যাপক। সত্যিই এ ধরনের কিছু আমার প্রত্যাশায় ছিল না। গত বছর ৯৯ বছরে পড়েছিলাম আর এ বছর শততম বর্ষে। এটাই কেবল মনে হয়েছি। মনে হয়েছিল, আরেকটি শততম জন্মদিনের উৎসব। তাতে কী? কিন্তু শেষ পর্যন্ত যা হলো তা সত্যিই অসাধারণ। এটা আমার জীবনের বিশেষ একটি দিন। দিনটি ভোলার মতো নয়।
প্রথিতযশা এ রাজনীতিককে সম্মান জানাতে ফিলোপ্যাটিয়ার ক্রিস্টিয়ান কলেজের শিক্ষার্থী ও কর্মীরা প্রতি বছরই তার জন্মদিন পালন করেন। কলেজের অধ্যক্ষ ফোবে ওয়াসফি বলেন, হ্যাজেল ম্যাকক্যালিয়ন মহৎ নেত্রী একজন। তিনি একজন মহান নারী নেত্রী এবং ন্যায়ের পক্ষে এবং মিসিসগাকে কীভাবে নেতৃত্ব দিতে হয় ভালো করেই তা জানতেন। শিক্ষার্থীদের জড়ো করে এই কানাডিয়ান হিরোর শততম জন্মদিন উদযাপন করাটা আমাদের জন্য সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ।
মিসিসগার মেয়র হিসেবে ২০১৪ সালে দায়িত্ব পালন শেষ করেন ম্যাকক্যালিয়ন। স্পষ্টবাদীতার জন্য তাকে হারিকেন হ্যাজেল হিসেবে ডাকা হয়। রাজনীতি ছাড়ার ছয় বছর অতিবাহিত হলেও এখনও বেশ কয়েকটি বোর্ডে আছেন তিনি। কানাডাজুড়ে লং-টার্ম কেয়ার ও রিটায়ারমেন্ট হোম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান রিভেরা এর মধ্যে অন্যতম।
ম্যাকক্যালিয়ন এ প্রসঙ্গে বলেন, ২০১৪ সালে অবসরে গেলেও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে আছি আমি এবং বোর্ডের সব সভাই এখন জুমে হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি।