
অন্টারিওর হ্যামিল্টনে অবস্থিত আফ্রিকান লায়ন সাফারি উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে নিকৃষ্ট চিড়িয়াখানা বলে সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। প্রাণি অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘ইন ডিফেন্স অব এনিম্যালস’ চিড়িয়াখানটিকে এই তকমা দিয়েছে।
২০২০ সালে হাতিদের জন্য সবচেয়ে বাজে পরিবেশ ছিল এমন দশটির চিড়িয়াখানার তালিকা সম্প্রতি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। তালিকায় হ্যামিল্টনের আফ্রিকান লায়ন সাফারি রয়েছে সবার ওপরে। সংস্থাটি বলছে, চিড়িয়াখানায় জন্ম নেওয়া হাতি বিক্রির পর তাদের স্থানান্তরের সময় এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়। এসব হাতিকে পরে সার্কাসে বিভিন্ন খেলা দেখানোর কাজেও ব্যবহার করা হয়।
ইন ডিফেন্স অব এনিম্যালসের ক্যাম্পেইন কো-অর্ডিনেটর অ্যান্ডারসন বলেন, কম বয়সী অনেক হাতিকে তাদের মায়ের কাছ থেকে আলাদা করে ফেলা হয়, যা তাদের মধ্যে মারাত্মক চাপ তৈরি করার পাশাপাশি আতঙ্কিত করে তোলে। অন্য হাতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ওপর হাতির স্বাস্থ্য নির্ভর করে। কিন্তু আফ্রিকান লায়ন সাফারি কর্তৃপক্ষ সে সুযোগ দিচ্ছে না।
উত্তর আমেরিকার চিড়িয়াখানাগুলোর সবচেয়ে বেশি এশিয়ান হাতি আছে আফ্রিকান লায়ন সাফারিতে। চিড়িয়াখানাটিতে এই প্রজাতির হাতি রয়েছে ১৬টি। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, প্রজননকে গুরুত্ব দিয়ে এশিয়ান হাতি নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা কর্মসূচি পরিচালনা করছে তারা। এসব গবেষণার মাধ্যমে এশিয়ান হাতির জীবন ও শারীরতত্ত্ব সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যাবে বলেও মনে করছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
ইন ডিফেন্স অব এনিম্যালস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আফ্রিকান লায়ন সাফারি চিড়িয়াখানায় এশিয়ান হাতি উৎপাদনের পর উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন চিড়িয়াখানায় সেগুলো বিক্রি করছে। প্রতিটি ১০ লাখ ডলার করে দুটি হাতির বিক্রির অপেক্ষায় আছে।
উত্তর আমেরিকার নিকৃষ্ট চিড়িয়াখানার তালিকায় আফ্রিকান লায়ন সাফারি ছাড়াও নাম আছে টেক্সাসের ফর্ট ওর্থ জু, পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গ জু ও নিউইয়র্কের সেনেকা পার্ক জু। এসব চিড়িয়াখানা পরিদর্শন না করতে দর্শনার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইন ডিফেন্স অব এনিম্যালস।