
কোভিড-১৯ মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে মানসিক স্বাস্থ্যের আরও অবনতি হয়েছে। এ অবস্থায় অন্টারিওর আসন্ন বাজেটে মানসিক স্বাস্থ্য খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দ্য কানাডিয়ান মেন্টাল হেলথ অ্যাসোসিয়েশন।
অ্যাসোসিয়েশনের অন্টারিও শাখা পরিচালিত তৃতীয় দফা জনমত জরিপের পর এ আহ্বান জানানো সংস্থাটি। চ্যাপ্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যামিলে কুয়েনভিল এক সাক্ষাৎকারে বলেন, জনমত জরিপের যে ফলাফলে মানসিক স্বাস্থ্য খাতে বড় ধরনের সরকারি বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উঠে এসেছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী মাত্র ৩৫ শতাংশ অন্টারিওবাসী তাদের মানসিক স্বাস্থ্য খুব ভালো বা চমৎকার বলে উল্লেখ করেছেন। যদিও গত মে মাসে পরিচালিত দ্বিতীয় দফা সমীক্ষায় এ ধরনের মত প্রকাশ করেছিলেন ৫২ শতাংশ অন্টারিওবাসী। এছাড়া অন্টারিওর ৮০ শতাংশ নাগরিক মহামাারি পরবর্তী সময়ে মারাত্মক মানসিক স্বাস্থ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। যদিও গত আগস্ট মাসের জরিপে ৬৬ শতাংশ ও মে মাসের জরিপে ৬৯ শতাংশ একই মত ব্যক্ত করেছিলেন।
এছাড়া মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে অন্টারিওবাসীর মধ্যে চাপও বেড়েছে। উচ্চ বা খুবই উচ্চ মাত্রার চাপে আছেন এমন মানুষের সংখ্যা ৩০ থেকে বেড়ে ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। উচ্চ বা খুবই উচ্চ মাত্রায় উদ্বেগে থাকা মানুষও ৩০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৫ শতাংশে পৌঁছেছে।
নিঃসঙ্গতায় ভোগা মানুষও আগের চেয়ে বেড়েছে। ৫৭ শতাংশ বলেছেন, মহামারি শুরুর পর থেকেই একা বোধ করছেন তারা। ৪৭ শতাংশ মনে করেন, কারো না কারো সঙ্গে তাদের কথা বলা জরুরি। আর ৩৬ শতাংশ বলেছেন, তারা প্রায়ই বা সব সময়ই একাকিত্ব বোধ করেন।
মানসিক স্বাস্থ্য সেবার বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব প্রদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর। তারা বলছে, মহামারি মোকাবেলায় মানসিক স্বাস্থ্যে ১৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরুরি তহবিল বিনিয়োগ করেছে। এর ফলে ৫৭ হাজার অন্টারিওবাসীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
১৯ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক হাজার ৪ জন অন্টারিওবাসীর ওপর জরিপটি পরিচালনা করে পোলারা।