উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও শ্রমিক সংকটের মধ্যে টিকে থাকতে কানাডার রেস্তোরাঁগুলো খাবারের দাম বাড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে মেন্যুর আকার ছোট করার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ খোলা রাখার সময়ও কমিয়ে আনছে।
রেস্টুরেন্টস কানাডা এক প্রতিবেদনে বলেছে, শিল্পটি আর্থিকভাবে এখনও সংকটে রয়েছে। দেশের প্রায় অর্ধেক রেস্তোরাঁ লোকসানে অথবা মুনাফা ছাড়াই চলছে।
ফুডসার্ভিস ফ্যাক্টস শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেস্তোরাঁয় খেতে আসা লোকজন এখনও মহামারি-পূর্ববর্তী সময়ের নিচে রয়েছে। মূল্যস্ফীতি সমন্বয়ের পর প্রকৃত বিক্রয় ২০১৯ সালের চেয়ে ১১ শতাংশ কম আছে।
রেস্তোরাঁ খাতে কর্মী নিয়োগও কানাডার সার্বিক কর্মসংস্থান পুনরুদ্ধারের তুলনায় কম আছে। মে মাসে মহামারি-পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় খাতটিতে ১ লাখ ৭১ হাজার কর্মী কম ছিল। রাঁধুনি ও রান্নাঘরের অন্যান্য কাজে কর্মী পাওয়া রীতিমতো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধিকাংশ রেস্তোরাঁই তাদের স্বাভাবিক সক্ষমতার ৮০ শতাংশ নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।
মেন্যুর দাম ২০২২ সালের শেষ নাগাদ এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়তে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদিও এক-তৃতীয়াংশের মতে, মূল্য বাড়তে পারে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। ফাস্ট-ফুড সরবরাহকারী রেস্তোরাঁগুলোতে মেন্যুর দাম বাড়তে পারে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ১ শতাংশ।
উচ্চ মূল্যস্ফীতির মোকাবিলায় রেস্তোরাঁগুলোকে যা করতে হচ্ছে, খাবারের দাম বৃদ্ধি তার মধ্যে একটিমাত্র পদ্ধতি। কিছু রেস্তোরাঁ খাবারের আইটেমের সংখ্যাও কমিয়ে আনছে, পরিমাণ কমিয়ে দিচ্ছে এবং সরবরাহকারী বদলে ফেলছে।
এদিকে সাম্প্র্রতিক মাসগুলোতে রেস্তোরাঁয় খেতে আসা মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য বাড়লেও ফুল-সার্ভিস রেস্তোরাঁগুলোতে এ সংখ্যা এখনও ২০১৯ সালের তুলনায় ২২ শতাংশ কম আছে। পুনরুদ্ধারে এই ধীরগতির কারণ মূলত অনেক কানাডিয়ান এখনও বাড়িতে বসেই অফিসের কাজ সারছেন।
মে মাসের তথ্য অনুযায়ী, এক-তৃতীয়াংশ কানাডিয়ান তাদের সব কাজ অথবা বেশিরভাগ কাজ হয় দূর থেকে করেছে। কিছু বড় শহরে বাড়ি থেকে কাজ সম্পন্নকারীদের সংখ্যা এর প্রায় দ্বিগুন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেস্তোরাঁগুলোতে সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার বিক্রয়ের ওপর এর একটা নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে।
এছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপেও রয়েছেন কানাডিয়ানরা। এ কারণে তারা ব্যয়সাশ্রয়ের চেষ্টা করছে।