
ভাড়া ফাঁকির শাস্তি হিসেবে জরিামানার বিদ্যমান যে কাঠামো তাতে পরিবর্তন আনছে গো ট্রানজিট। এর ফলে একাধিকবার ভাড়া ফাঁকি ধরা পড়লে নতুন করে বড় ধরনের জরিমানা আরোপ করা হতে পারে।
নতুন কাঠামোটি মেট্রোলিংকসের পরিচালনা পর্ষদ বিবেচনা করে দেখবে। অনুমোদিত হলে বিদ্যমান ব্যবস্থার স্থলে সেটি কার্যকর হবে। বর্তমানে ভাড়া ফাঁকি দিলে ১০০ ডলার জরিমানা গুনতে হয়।
প্রস্তাবিত ব্যবস্থায় কর্মীরা প্রথমবার ভাড়া ফাঁকি দেওয়ার জরিমানা ৩৫ ডলার নির্ধারণের কথা বলেছেন। তবে দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে জরিমানা বেড়ে হবে ৫০ ডলার এবং তৃতীয়বার করলে ১০০ ডলার। কোনো যাত্রী চতুর্থ বা তার বেশিবার ভাড়া ফাঁকি দিলে সেক্ষেত্রে তাদের নামে প্রভিন্সিয়াল অফেন্স নোটিশ ইস্যু করা হবে। সেই সঙ্গে ২০০ ডলার জরিমানাও গুনতে হবে। যদিও পরোয়ানার ফলে তাদেরকে আদালতের সামনেও হাজিরা দিতে হতে পারে এবং ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে।
এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্তরভিত্তিক এ পদক্ষেপ শাস্তিমূলক নয়। বরং গ্রাহকদের আচরনে পরিবর্তন আনার উদ্দেশে। কারণ, এটা অর্থ পরিশোধ সংক্রান্ত। প্রথম ধাপটিতে জরিমানার পরিমাণ খুবই সামান্য এবং নির্ধারিত ভাড়ার সমতুল্য। কিন্তু দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে ফির পরিমাণ বেশি। এর উদ্দেশ্য ভাড়া-সংক্রান্ত অপরাধ অব্যাহত রাখা যাত্রীদের এ থেকে বিরত রাখা। এটা কর্মকর্তাদের ভাড়া পরিশোধ ও টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে যাত্রীদেরকে শিক্ষিত করে তোলার সুুযোগ এনে দেবে। কারণ, মেট্রোলিংকসের হারানো রাজস্ব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা এখনও চলছে।
মেট্রোলিংকসের ভাড়া আদায়ের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের বর্তমানে যাত্রীদের কাছে টিকেট বিক্রিও বা জরিমানা ইস্যুর ক্ষমতা নেই। বর্তমান ব্যবস্থায় প্রথমবার ভাড়া ফাঁকি দেওয়া যাত্রীদের নামে কেবলমাত্র শিক্ষামূলক নোটিশ ইস্যু করতে পারেন কর্মকর্তারা। কিন্তু এতে হারানো রাজস্ব পুনরুদ্ধারের সুযোগ নেই। নতুন ব্যবস্থা মেট্রোলিংকসকে হারানো রাজস্ব পুনরুদ্ধারের সুযোগ করে দেবে।
প্রতিবেদনে মেট্রোলিংকস বলেছে, গ্রাহকদের আমরা আমাদের সেবায় স্বাগত জানাতে জানাতে শুরু করায় নতুন এই পদ্ধতি যাত্রীদের সচেতন করে তোলার ব্যাপারে কর্মকর্তাদের বড় ধরনের সুযোগ করে দেবে। তা সে টিকেট ক্রয়-ই হোক বা টিকেট না কিনলে তার পরিণতি কী হতে পারে তা।
পর্ষদ সভায় অনুমোদিত হলে নতুন জরিামান কাঠামো ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।