
রেন্ট-এ-কার প্রতিষ্ঠান এভিসের কাছ থেকে একটি কার ভাড়া নিয়েছিলেন জিওভানি বনিফেস নামে ভ্যানকুভারের এক নারী। এর জন্য তার কাছে ভাড়া দাবি করা হয়েছে ৮ হাজার ডলার। অর্থাৎ কিলোমিটারপ্রতি ২৫ সেন্ট হিসেবে ৩৬ হাজার ৪৮২ কিলোমিটার পথ ভ্রমণের ভাড়া চাওয়া হয়েছে তার কাছে। যদিও তিনি কারটি ভাড়া নিয়েছিলেন তিন দিনের জন্য।
বনিফেস বলেন, মেয়েকে ইউনিভার্সিটিতে থাকার ব্যবস্থা করে দিতে আগস্টের গোড়ার দিকে টরন্টো পিয়ারসনে যাওয়ার পর এভিস থেকে তিন দিনের জন্য একটি কার ভাড়া করেছিলেন তিনি। তিনি ভ্রমণ করেছিলেন জিএমসি ইউকন ডেনালি থেকে বিমানবন্দর, ডাউনটাউন টরন্টো ও কিচেনারের মধ্যে। কিচেনারে তিনি তাাঁর শাশুড়ির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে তিনি ৩০০ কিলোমিটারের মতো ভ্রমণ করেছিলেন। এরপর তিনি কারটি বিমানবন্দরে ফেরত দেন এবং ইউরোপের একটি ফ্লাইট ধরতে চেক ইন করেন।
বনিফেস বলেন, ভাড়া বাবদ তিনি ১ হাজার ডলার আগেই পরিশোধ করেছিলেন এবং ভাড়া ঠিকমতো হয়েছে কিনা তা জানতে ক্রেডিট কার্ডটি পরীক্ষা করেন। এরপর তিনি দেখতে পান, এভিসের তরফ থেকে ভাড়া ধরা হয়েছে ৮ হাজার ডলার। এরপর তিনি এভিসের দেওয়া রশিদটি দেখেন এবং খেয়াল করেন প্রতি কিলোমিটার ২৫ সেন্ট হিসেবে ৩৬ হাজার ৪৮২ কিলোমিটার ভ্রমণের ভাড়া ধরেছে। এই পরিমাণ পথ পাড়ি দিতে হলে ৫০০ কিলোমিটার গতিতে টানা ৭২ ঘণ্টা গাড়ি চালাতে হবে। তিনবার টরন্টো ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে আসা-যাওয়া করলে এই পরিমাণ দূরত্ব ভ্রমণ করা হবে।
তিনি বলেন, আমি যেটা করতে চেয়েছিলাম তা হলো সিকিউরিটি থেকে বেরিয়ে সোজা কাউন্টারে চলে যেতে। কিন্তু হাতে সময় না থাকায় সেটা করতে পারিনি। কারণ, সিকিউরিটি লাইন ছিল বেশ লম্বা। এর পরিবর্তে আমি বিমানবন্দরে এভিসের লোকেশনে ফোন করার চেষ্টা করি। কিন্তু কেউ ফোন তোলেনি। ফোন বেজে চললেও কেউ তা ওঠায়নি। কাউকে ফোনে না পাওয়াটা সত্যিই হতাশার।
প্যারিসে পৌঁছানোর পর লেনদেনটির ব্যাপারে আপত্তি জানাতে ভিসা অফিসে ফোন করেন বনিফেস। কিন্তু এটি অপরিশোধিত দেখানো তাদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে সিটিভি নিউজ টরন্টোকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এভিস বলেছে, এই ভুলের জন্য তারা বনিফেসের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এবং রিফান্ড ইস্যু করেছেন। তবে কী কারণে এ ভুল সে ব্যাপারে তারা কিছু জানায়নি।