জরিমানা আরোপের আগে ফেডারেল সরকার যেন শুনানির আগেই পদক্ষেপ না নেয় সেজন্য কানাডার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে আন্তর্জাতিক মুসলিম দাতব্য সংস্থা অটোয়াভিত্তিক হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল। ফেডারেল সরকারের সরকার আরোপিত বহিস্কারাদেশ বাতিলে ফেডারেল কোর্ট আপিলের অস্বীকৃতি পুনর্বিবেচনারও আবেদন জানিয়েছে সংস্থাটি। এই বহিস্কারের ফলে সংস্থাটির জন্য ট্যাক্স রিসিট ইস্যু নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।
এক নিরীক্ষায় ছয়টি উদ্যোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পর কানাডা রেভিনিউ এজেন্সি ২০২১ সালের জুলাইয়ে সংস্থাটির ওপর এক বছরের বহিস্কারাদেশ জারি করে। বহিস্কারাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করছে। তারা বলছে, এর ফলে দাতব্য খাতে লক্ষ্যণীয় মাত্রায় প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
আবেদনে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আবেদন জানিয়ে হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, আদালতে এ ব্যাপারে এগিয়ে না এলে কানাডায় আইনের শাসন নিয়ে খারাপ ধারণা সৃষ্টি হবে। তাদের যুক্তি, এর ফলে ফেডারেল সংস্থাগুলো কোনো ইস্যু প্রকাশ করা ও দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই কোনো প্রতিষ্ঠানকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা পাবে। সরকারি সংস্থাগুলোর হাতে জনগণকে শাস্তি দেওয়ার অবাধ ক্ষমতা থাকলে নির্দোষ পক্ষগুলোও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবে। এমনকি বিচারে আমলাতান্ত্রিক ভুল চিহ্নিত হওয়ার পরও শাস্তি ফিরিয়ে নেওয়া যাবে না।
হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশানালের নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা খান বলেন, রেভেনিউ এজেন্সির নিরীক্ষাধীন যেকোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠানকেই বরখাস্তের ভয়ের মধ্যে থাকতে হবে। এর ফলে তাদের মধ্যে এই ধারণা জন্মাবে যে, ঠিক আছে। আমাদের তো আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। অথবা কানাডা রেভিনিউ এজেন্সিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার কোনো উপায় নেই। কানাডায় দাতব্য সংস্থাগুলো এই অবস্থার মধ্যে পড়–ক আমরা সেটা চাই না।