অন্টারিওর বাসিন্দা লোর্নের দুইটি কার চুরি গেছে গত তিন মাসে। মিডটাউন টরন্টোর ড্রাইভওয়ে থেকে চুরি যাওয়া দ্বিতীয় কারটির তিনি হদিস পেয়েছেন অভিনব কৌশলে। সিটিভি নিউজ টরন্টোকে তিনি বলেন, এটা ভয়ের। কিন্তু আপনি ভয়ের মধ্যে বাঁচতে পারবেন না।
লোর্নের পরিবার গত ১ এপ্রিল এভেনিউ রোড ও লরেন্স এভেনিউ এলাকায় চলে আসে। পরদিন গিক স্কোয়াড তার বাড়িতে টেলিভিশন স্থাপনের জন্য। রেঞ্জ রোভার অটোবায়োগ্রাফির চাবিটি তিনি রাখেন ফ্যারাডে বক্সে রেখে দেন। গিক স্কোয়াড বাড়ি ছাড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে দিনের আলোতেই তার গাড়িটি চুরি হয়ে যায়।
লোর্নে বলেন, চোরেরা আমার গাড়ির ট্র্যাকারটি বিকল করে দিতে সক্ষম হয়।
চুরি করার আগে চোরেরা গাড়ির ভেতরে রাখা তার ওয়ালেট ও শিশুদের ফোন চোরেরা গাড়ির বাইরে ফেলে দিয়ে যায়। গাড়ির স্থান যাতে ট্র্যাক করতে না পারি সেজন্যই চোরোর এগুলো বাইরে ফেলে গেছে। এর ৩০ দিন পর একই মডেলের আরেকটি গাড়ি কেনেন লোর্নে। কিন্তু এবার তিনি তিনটি অ্যাপল এয়ারট্যাগ ট্র্যাকিং ডিভাইসের একটি রেখে দেন একটি গ্লাভবক্সে, আরেকটি রেখে দেন স্পেয়ার টায়ারে এবং তৃতীয়টি রাখেন পেছনের আসনে।
সাধারণ গ্যারেজেই গাড়ি পার্ক করলেও গত বুধবার আর তিনি সেটা করেন নি। পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শিশুরা দৌড়ে এসে গাড়িটি চুরি যাওয়ার খবর দেয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফাইন্ড মি অ্যাপে লগইন করেন এবং তিনটি অ্যাপল এয়ারট্যাগই স্কারবোরোর ম্যানভিল ও কমসক রোডে সনাক্ত করেন তিনি। মেটাল রিসাইক্লিং প্ল্যান্টে ছিল সেগুলো। শিশুদের স্কুলে রেখে তিনি ওই স্থানের দিকে যান এবং পুলিশে খবর দেন। কোনো পুলিশ কর্মকর্তাকে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি থানায় উপস্থিত হন।
টরন্টো পুলিশের মুখপাত্র ডেভিড হপকিন্স সিটিভি নিউজ টরন্টোকে বলেন, বিষয়টি বৃহস্পতিবারের মধ্যেই আমরা জানতে পেরেছি।
পরদিন চুরি যাওয়া গাড়িটি উদ্ধার হয়েছে বলে জানতে পারেন লোর্নে। বিষয়টির তদন্ত চলমান থাকায় এ নিয়ে পুলিশ আর কোনো মন্তব্য করেনি। লোর্নে বলেন, পুলিশ তার গাড়িটি উদ্ধার করেছেন এবং শিগগিরই তাকে তা বুঝিয়ে দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।