
মহামারির সময় আবেদন ব্যাপক হারে কমে গেলেও অনিস্পন্ন নেক্সাস আবেদনের স্তুপ জমে গেছে। কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি (সিবিএসএ) বলছে, ২ লাখ ৯৫ হাজার ১৩৩টি নেক্সাস আবেদন এখনও যাচাই-বাছাই করা সম্ভব হয়নি। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে অফিস বন্ধ থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রোগ্রামের কার্ডধারীদের অবশ্যই সিবিএসএ এবং মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশনের ঝুঁকি মূল্যায়ণের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এই কার্ডধারীরা আলাদা ও দ্রুতগতির লাইনে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন।
মার্কিন এজেন্সি আবেদনকারীদের সাক্ষাতের জন্য নেক্সাস এনরোলমেন্ট সেন্টার ১৯ এপ্রিল উন্মুক্ত করেছে। তবে কানাডার সেন্টারগুলো ২০২০ সালের মার্চ থেকে বন্ধই আছে।
যাচাই-বাছাই না হওয়ার কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নেক্সাস সদস্যরা সিট-ডাউন বুক করতে হিমশিম খাচ্ছেন। নেস্কাস কার্ড নবায়নে আগ্রহী কানাডিয়ানরা মাত্র ডজনখানেক বর্ডার কমিউনি্িট অফিসে সাক্ষাৎকারের তারিখ পাচ্ছে। কারণ, এসব অফিসে শ্লট খুবই সীমিত।
সিবিএসএ এক ইমেইল বার্তায় জানিয়েছে, কানাডিয়ান এনরোলমেন্ট সেন্টারগুলো কবে নাগাদ খোলা হবে তা নিয়ে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। সিবিএসএর মুখপাত্র রেবেকা পুর্ডি বলেন, ২০১৯ সালে কি পরিমাণ আবেদনের স্তুপ জমেছে তা জানা যায়নি। আমি এটা বলতে পারি যে, জনস্বাস্থ্যের কারণে ২০২০ সালের মার্চে এনরোলমেন্ট সেন্টারগুলো বন্ধ থাকায় আবেদনের স্তুপ মহামারি-পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে লক্ষ্যণীয় হারে বেড়ে গেছে।
এইচইসি মন্ট্রিয়াল বিজনেস স্কুলের ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক জ্যাক রয় বলেন, আবেদনের এই স্তুপ ব্যবসা ও ছুটি কাটানোর উদ্দেশে ভ্রমণকারীদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। কর্মী স্বল্পতা ও দীর্ঘ সারির কারণে আগে থেকেই সমস্যায় থাকা বিমানবন্দরগুলোর ওপরও চাপ তৈরি করছে এটা।
অফিস বন্ধ থাকার বিষয়ে রয় বলেন, ওই সময় কোনো প্রক্রিয়াই কেন হলো না সত্যিই আমি তা বুঝতে পারছি না।
সিবিএসএ বলছে, যারা নতুন করে আবেদন করেছেন অথবা নবায়ন করতে চান তাদের আবেদন ৩০ দিনের সময়সীমার যে মানদ- তার মধ্যেই দূর থেকেই ঝুঁকি মূল্যায়ণের কাজ অব্যাহত রেখেছে তারা।