
কানাডার বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার মার্চে ৬ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছে। স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার হিসাবে, ৩১ বছরের মধ্যে এটাই ভোক্তা মূল্যসূচকের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি।
ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছিল ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। ১৯৯১ সালের জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ৯ শতাংশে ওঠার পর এটাই সর্বোচ্চ হার। ১৯৯১ সালে কানাডা জিএসটি চালু করে।
পাম্পের উচ্চমূল্য মার্চের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে। মার্চে গ্যাসোলিনের দাম বেড়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা বলছে, হিসাব থেকে গ্যাসোলিনের দাম বাদ দিলে মার্চে ভোক্তা মূল্য সূচক দাঁড়াবে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পেছনে কানাডার উত্তপ্ত আবাসন বাজার, সরবরাহ ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা ও ইউক্রেন যুদ্ধ মূলত দায়ী। কারণ, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ¦ালানি তেল ও খাবারের দাম বেড়ে গেছে। নতুন বাড়ির মূল্যসহ বাড়ি পরিবর্তনের খরচ বেড়েছে ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। মুদি দোকানের খরচ বেড়েছে বছরওয়ারি ৮ দশমিক ৭ শতাংশ, ২০০৯ সালের মার্চের পর যা সর্বোচ্চ। এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে ১৯৮৩ সালের পর দুগ্ধজাত পণ্যের সর্বোচ্চ মূল্য বৃদ্ধি।
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ পাস্তা ও খাদ্যশস্যের দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী। খাদ্যশস্যের দাম ১৯৯০ সালের জুনের পর সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বেড়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন শীর্ষস্থানীয় গম রপ্তানিকারক দেশ।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা বলছে, প্রদেশভিত্তিক মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ডে, বছরওয়ারি যার হার ৮ দশমিক ৯ শতাংশ।
বিএমওর প্রধান অর্থনীতিবিদ ডগলাস পর্টার বলেন, বার্ষিকভিত্তিতে মার্চে মূল্য সবচেয়ে দ্রুত বাড়লেও ঘণ্টাপ্রতি মজুরি বেড়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির তুলনায় মজুরি বৃদ্ধির এ হার অনেক কম, যা বিভিন্ন আয়শ্রেণির মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। মূল্যস্ফীতি ও মজুরি বৃদ্ধির মধ্যে ৩ শতাংশীয় পয়েন্টের বেশি ব্যবধানকে টেকসই বলা যায় না। হয় মূল্যস্ফীতিকে দ্রুত নামিয়ে আনতে হবে, আর তা সম্ভব না হলে স্বল্প মেয়াদে মজুরি বাড়াতে হবে।
গত সপ্তাহে ব্যাংক অব কানাডা নীতি সুদহার দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়েছে। এর ফলে বেঞ্চমার্ক সুদের হার দাঁড়িয়েছে ১ শতাংশে। তবে সামনের বছরে সুদের হার আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।