২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ পাঁচটি ম্যাচ আয়োজন বাবদ ৯ কোটি ডলারের বেশি টরন্টো খরচ করবে কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সিটি কাউন্সিল। ৪৮ দলের বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব যৌথভাবে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো এরই মধ্যে পেয়ে গেছে এবং আগামী মাসে ১৬টি আয়োজন শহরের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবে ফিফা।
কর্মীদের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, টরন্টোতে খেলাগুলো আয়োজনে খরচ হবে সাকল্যে ২৯ কোটি ডলার। এর দুই-তৃতীয়াংশের জোগান দেবে প্রাদেশিক ও ফেডারেল সরকার। ২০১৮ সালে ৩ থেকে সাড়ে ৪ কোটি ডলার ব্যয়ের যে ধারণা দেওয়া হয়েছিল তার থেকে এটা অনেক বেশি। ওই সময় টরন্টো প্রথমবারের মতো ম্যাচ আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল।
প্রাক্কলন অনুযায়ী, টুর্নামেন্টটি জিডিপিতে ৩০ কোটি ৭০ লাখ ডলার যোগ করবে। ৩ হাজার ৩০০ কর্মসংস্থান এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া ১ লাখ ৭৪ হাজার দর্শনার্থীর নগরে পা পড়বে এবং ৩ হাজার ৩০০ কর্মসংস্থান হবে।
মেয়র জন টরি সিটি হলে বুধবার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, এটা টরন্টোকে মানচিত্রে স্থান করে দেবে। এটা বিশে^র সবচেয়ে বড় ক্রিড়া অনুষ্ঠান এবং আমাদের এর অংশ হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আমার মনে হয় টরন্টোর বিপুল সংখ্যক মানুষ এ নিয়ে বেশ উত্তেজনায় রয়েছে এবং তারা এর মধ্যে ব্যবসার বিষয়টি খুঁজে পাবেন।
বিশ্বকাপ আয়োজনে টরন্টোর প্রস্তাবিত ব্যয় ৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার ও সম্পদ হিসেবে আরও ২ কোটি ডলার। বিএমও ফিল্ডকে ম্যাচের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে ৬ কোটি ৩৭ লাখ মূলধনী কাজ করতে হবে। অতিথি দলের প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরিতে ব্যয় হবে ৪ কোটি ১২ লাখ ডলার। আয়োজক শহর হিসেবে ফ্যান ফেস্ট আয়োজনের দায়িত্বও টরন্টোর এবং এজন্য খরচ হবে ১ কোটি ৭০ লাখ ডলারের বেশি।
আয়োজক শহর হিসেবে টরন্টো নির্বাচিত হলে ২০২৪ সালের কোনো এক সময় বিএমও ফিল্ডের মূলধনী কাজ শুরু করতে হবে। এরপর বাড়তি দর্শক ধারণক্ষমতার জন্য এর সাময়িক সম্প্রসারণ শুরু হবে ২০২৫ সালের কোনো এক সময়। ফুটবল ম্যাচের জন্য বিএমও ফিল্ডের ধারণক্ষমতা বর্তমানে ৩০ হাজার। তবে ফিফা সব স্টেডিয়ামের জন্যই সর্বনিম্ন ধারণক্ষমতা ৪৫ হাজার বেঁধে দিয়েছে।