মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
14.9 C
Toronto

Latest Posts

রেস্তোরাঁগুলো আবার কর্মী সংকটে

- Advertisement -
দুই বছর ধরে লকডাউন আরোপ ও প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে গেছে কানাডা।

দুই বছর ধরে লকডাউন আরোপ ও প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে গেছে কানাডা। গত মাসে মহামারি সংশ্লিষ্ট বিধিনিষেধ যখন প্রত্যাহার করা হয় তখন কিছুটা আশা খুঁজে পেয়েছিলেন রাচেল রেইন্ডার্স। কিন্তু আবারও তাকের কার্যক্রম ছোট করে আনতে হচ্ছে অটোয়ার লেফটেন্যান্ট এর পাম্প পাবের এই কর্তাব্যক্তিকে। মার্চে এক সপ্তাহের জন্য লাঞ্চটাইম কিচেন বন্ধ রাখতে হয়েছিল তাকে। কারণ, একই সময়ে চারজন পাচক অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিলেন।

রেইন্ডার্স বলছিলেন, আমাদের কিচেনে পর্যাপ্ত লোকবল নেই। তাই একজনের অনুপস্থিতি পুষিয়ে নেওয়ার সক্ষমতাও আমাদের নেই। সেখানে আমরা চারজনকে হারিয়েছি। অবশিষ্ট যারা ছিলেন তাদেরকে দ্বিগুন কাজ করতে হয়েছে।

- Advertisement -

মহামারির ষষ্ঠ ঢেউয়ের কারণে কানাডাজুড়েই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কর্মী সংকট স্বাস্থ্য সেবা খাত থেকে হসপিটালিটি ও খুচরা বিক্রয় সব খাতকেই ভোগাচ্ছে। যদিও এটা গত শীতের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ভালোভাবে ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব হচ্ছে।

টরন্টোর ইউনিভার্সিটি হেলথ নেটওয়ার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. কেভিন স্মিথ বুধবার বলেন, গত কয়েক দিনে তার হাসপাতালে কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। রোগীর সংখ্যা এতোটাই বেড়েছে যে তা সামাল দিতে আবারও হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মীদের।
মন্ট্রিয়লের পারকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি কোয়ার্টজ কোম্পানির প্রায় ১০০ কর্মীর মধ্যে ১০ জনকে সম্প্রতি কোভিড-১৯ উপসর্গের কারণে বাড়িতে থাকতে হয়। যদিও তাদের এই অনুপস্থিতি গত জানুয়ারির চেয়ে কম সময়ের জন্য ছিল বলে জানান কোম্পানির সহপ্রতিষ্ঠাতা ফ্রাসোয়াঁ-জ্যাভিয়ার রবার্ট।

কানাডিয়ান ফেডারেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিজনেসের জ্যেষ্ঠন পরিচালক রায়ান মালো বলেন, কর্মীরা অসুস্থ্য হতে থাকায় খুচরা ব্যবসা, জিম ও অনুষ্ঠানস্থলগুলো আরেক দফা ধাক্কার মুখে পড়েছে। কর্মীদের অনুপস্থিতি বিবেচনায় নিলে সবখানেই এটা টের পাওয়া যাচ্ছে।

ষষ্ঠ ঢেউয়ের মধ্যে কানাডার কিছু প্রদেশ ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা জোরদার করছে। কুইবেক ও প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ড মাস্ক পরিধানের বাধ্যবাধকতা এ মাসের শেষ দিক পর্যন্ত বর্ধিত করেছে। অন্টারিও, কুইবেক ও ব্রিটিম কলাম্বিয়া কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের চতুর্থ ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

এদিকে বৈমানিক স্বল্পতা উড়োজাহাজ পরিবহন শিল্পের কার্যক্রমকে বিঘিœত করছে। এ অবস্থায় সাম্প্র্রতি সপ্তাহগুলোতে অধিক সংখ্যক ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টকে ডেকে আনতে হয়েছে।

- Advertisement -

Latest Posts

Don't Miss

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.