
টরন্টোতে মার্চে বাড়ির গড় বিক্রয় মূল্য সামান্য হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছে টরন্টো রিজিয়নাল রিয়েল এস্টেট বোর্ড (টিআরআরইবি)। বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, মার্চে টরন্টোতে সব ধরনের বাড়ির গড় বিক্রয় মূল্য ছিল ১২ লাখ ৯৯ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারির তুলনায় এ মূল্য কিছুটা কম। ফেব্রুয়ারিতে নগরীতে রেকর্ড ১৩ লাখ ৩৪ হাজার ডলারে বাড়ির হাত বদল হয়েছিল।
বোর্ড তার সাম্প্রতিক উপাত্ত এমন এক সময় প্রকাশ করলো যখন ব্যাংক অব কানাডা গত মাসেই নীতি নির্ধারণী সুদের হার ২৫ ভিত্তি পয়েন্ট বাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি রেকর্ড সর্বোচ্চ থেকে নামিয়ে আনতে সুদের হার আরও বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কানাডায় মূল্যস্ফীতি বর্তমানে ৫ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছে, ৩০ বছরের মধ্যে যা রেকর্ড সর্বোচ্চ। এর ফলে শেষ পর্যন্ত ঋণ মহার্ঘ্য হয়ে উঠবে, যার প্রভাব পড়বে আবাসন বাজারে।
টিআরআরইবির প্রধান বাজার বিশ্লেষক জেসন মার্সার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, গ্রেটার টরন্টো এরিয়ার অধিকাংশ নেবারহুড বাজারে বাড়ির ক্রেতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চরমে আছে। যদিও ২০২১ সালের শেষ প্রান্তিকে তুলনায় ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে মোটামুটি ভালো ভারসাম্য প্রত্যক্স করেছি। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে বছরজুড়ে মূল্য বৃদ্ধি মাঝারি মাত্রায় থাকবে।
মহামারিজুড়েই গ্রেটার টরন্টো এরিয়াতে বাড়ির দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। প্রায় শুন্য সুদের হার এবং বাড়িতে বসে কাজের সময় বেশি জায়গার চাহিদা তৈরি হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি যে বদলের পথে সাম্প্রতিক উপাত্তে সে ইঙ্গিত মিলছে।
মার্চে সাকল্যে বাড়ি বিক্রি হয়েছে ১১ হাজারটি, যা এখন পর্যন্ত তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যস্ত মার্চ। তবে ২০২১ সালের মার্চের সঙ্গে তুলনা করলে বিক্রির পরিমাণ ৩০ শতাংশ কম। এই সময়ে নতুন বাড়ির তালিকাভুক্তিও কমেছে। তবে তা ১২ শতাংশের মতো, অধিকতর ভারসাম্যপূর্ণ বাজারের ইঙ্গিবাহী।
এক বছরে সেমি-ডিটাচড বাড়ির দাম বেড়েছে ২৬ শতাংশ। যেখানে টাউনহাউজের দাম বেড়েছে ২৫ শতাংশ। মূল্যবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে টরন্টোর পাশর্^বর্তী ৯০৫ রিজিয়নে। বাড়িভেদে এখানে বাড়ির গড় মূল্য ২৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৪৬ হাজার ডলার।
টিআরআরইবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জন ডিমিশেলে বলেন, চাহিদা হ্রাসের চেয়ে বাড়ির সরবরাহ বাড়ানো যে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সাম্প্রতিক ফলাফলেই সেটাই উঠে এসেছে। অনবাসীদের বাড়ি ক্রয়ে কর বৃদ্ধির ব্যাপারে ফোর্ড সরকারের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্যটি করেন তিনি। ডিমিশেলে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সামনের বছরগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে রেকর্ড হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ হিসাবে বাড়ির মালিকা ও ভাড়ার চাহিদাও বাড়বে।