
জনস্বাস্থ্য বিধিনিষেধ শিথিল করার ফলে অন্টারিও এখন স্পষ্টতই মহামারির ষষ্ঠ ঢেউয়ের মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্টারিওর কোভিড-১৯ সায়েন্স অ্যাডভাইজরি টেবিলের প্রধান ড. পিটার জুনি। মঙ্গলবার রাতে সিপি২৪কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
অন্টারিও মহামারির নতুন ঢেউয়ের মাঝামাঝি আছে কিনা? ড. পিটার জুনির কাছে এ প্রশ্ন করা হলে জবাবে তিনি বলেন, আমাদের বর্জ্যপানির দিকে তাকালে বিষয়টি পরিস্কার হবে। আপনারা একে আমরা যে ঢেউয়ের মধ্যে ছিলাম তার প্রত্যাবর্তন অথবা নতুন ঢেউও বলতে পারেন। তবে এটা বিএ.২ ঢেউ নয়।
অন্টারিওর উর্ধ্বমুখি সংক্রমণের জন্য ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে দায়ি করা যাবে না বলে জানান তিনি। আমরা যা দেখছি সেটা সম্পূর্ণরূপে আমাদের নিজেদের দায়। সময়ের চেয়ে আমরা অনেক বেশি এগিয়ে গেছি। হাসপাতাল ব্যবস্থা যাতে আবার চ্যালেঞ্জের মধ্যে না পড়ে সেজন্য সংক্রমণের গ্রাফটি নিচে নামার দায়িত্বটা আমাদের হাতেই রয়েছে।
অন্টারিওর হাসপাতালে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগী ভর্তি এক সপ্তাহ আগের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে কোভিড-১৯ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৯০ জন রোগী।
বর্র্জ্যপানিতে ভাইরাসের মাত্রার ভিত্তিতে জুনির প্রাক্কলন বলছে, অন্টারিওতে বর্তমানে প্রতিদিন ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার মানুষ নতুন করে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে সঠিক আক্রান্তের সংখ্যা নির্ণয় করাটা প্রায় অসম্ভব। কারণ, প্রদেশ জনস্বাস্থ্য বিধিনিষেধ থেকে ব্যাপকভাবে সরে এসেছে।
অন্টারিও থেকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ফোর্ড সরকার। এপ্রিল থেকে সব বিধিনিষেধই কার্যত উঠে যাবে। কয়েক সপ্তাহ আগে সরকারের তরফ থেকে যখন এই ঘোষণা দেওয়া হয় তখন কর্মকর্তারা বলেছিলেন, বিধিনিষেধ শিথিল করার ফলে সংক্রমণ বাড়বে, কিন্তু তা মোকাবেলা করার মতো ব্যবস্থা বর্তমানে প্রদেশের হাতে রয়েছে। ভ্যাকসিন ও ওষুধ এর মধ্যে অন্যতম।
প্রদেশ বর্তমানে নতুন ঢেউয়ের মধ্যে আছে কিনা জানতে চাইলেও অন্টারিওর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার সিটিভি নিউজ টরন্টোকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি। শুধু বলেছে, অন্টারিওর হাসপাতাল এখন যথেষ্ট সুসজ্জিত।