
ফেব্রুয়ারিতে জীবনযাত্রার ব্যয় এতোটাই বেড়েছে গত ৩০ বছরে যা দেখা যায় নি। গ্যাসোলিন ও মুদিপণ্যের উচ্চ মূল্যের ওপর ভর করে এ ব্যয় বেড়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এগুলো আরও মহার্ঘ হয়ে উঠতে পারে। মূল্যস্ফীতির হারও আরও বাড়তে পারে।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা বলছে, ফেব্রুয়ারিতে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, ১৯৯১ সালের আগস্টের পর যা সর্বোচ্চ। এই নিয়ে টানা দুই মাস ৫ শতাংশের উপরে গেলো মূল্যস্ফীতির হার।
অ্যাকাউন্টং ফার্ম আরএসএমের অর্থনীতিবিদ তু এনগুয়েন বলেন, মার্চে মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। এমনকি ১৯৮০ সালের পর প্রথমবারের মতো তা ৭ শতাংশেও পৌঁছে যেতে পারে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য প্রস্তুত হন। এটা কঠিন হতে যাচ্ছে।
ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে গ্যাসোলিনের উচ্চ মূল্য। ফেব্রুয়ারিতে ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় গ্যাসোলিনের দাম বেড়েছে ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ। জানুয়ারির তুলনায় এটা ৬ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। গ্যাসের দাম বাদ দিলে ফেব্রুয়ারিতে বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
মুদিপণ্যের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, ২০০৯ সালের মে মাসের পর যা সর্বোচ্চ। এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে জ¦ালানির বর্ধিত মূল্য, যা চূড়ান্ত বিচারে ভোক্তাদের ওপরই বর্তাচ্ছে।
বাড়ি দাম ও ভাড়া বেড়েছে ১৯৮৩ সালের আগস্্েটর পর সবচেয়ে দ্রুত গতিতে। বিএমওর প্রধান অর্থনীতিবিদ ডগলাস পর্টার বলেন, বছরওয়ারি ৪ দশমিক ২ শতাংশ যে ভাড়া বেড়েছে তা উন্মত্ত আবাসন বাজারের উপজাত।