
শান্তি মিলছে না গ্রেটার টরন্টো এরিয়ার (জিটিএ) বাড়ির ক্রেতাদের। কারণ, গত মাসে জিটিএতে বাড়ির গড় দাম বেড়েছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২৮ শতাংশ। সরবরাহ ঘাটতি অব্যাহত থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
টরন্টো রিয়েল রিজিয়নাল এস্টেট বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে এলাকাটিতে বাড়ির গড় দাম ১৩ লাখ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। গত ফেব্রুয়ারিতেও যেখানে প্রতিটি বাড়ির দাম ছিল গড়ে ১০ লাখ ডলার। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে দাম ছিল গড়ে ১২ লাখ ডলার।
ডিটাচড বাড়ির গড় দাম গত মাসে ১৭ লাখ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এছাড়া সেমি ডিটাচড বাড়ির দাম পৌঁছে ১৩ লাখ, টাউন হাউজের ১১ লাখ ও কন্ডোর ৮ লাখ ডলারের কাছাকাছি। চাহিদা সরবরাহকে ছাড়িয়ে যাওয়ার কারণেই বাড়ির দামের এ ঊর্ধ্বগতি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে বাড়ির দাম হাকায় এক ধরনের যুদ্ধ চলছে।
ফেব্রুয়ারিতে বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত বাড়ির সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ১৪৭টি। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৭ শতাংশ কম। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছিল মোট ১৫ হাজার ১৪৬টি বাড়ি। এছাড়া গত মাসে হাত বদল হয়েছে মোট ৯ হাজার ৯৭টি বাড়ি। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যেখানে হাত বদল হয়েছিল ১০ হাজার ৯২৯টি এবং জানুয়ারিতে ৫ হাজার ৬২২টি বাড়ি। এর অর্থ হলো ২০২১ সালে বাড়ি বিক্রিতে সর্বকালের যে রেকর্ড হয়েছিল ফেব্রুয়ারির বিক্রি তা ভাঙতে পারেনি। তবে এটিই এখন পর্যন্ত এক মাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিক্রি।
গত বছর অথবা সুদের হার বৃদ্ধির আগে এ বছরের শুরুর দিককার সপ্তাহগুলোতেই অনেকে বাড়ি কেনার কাজ সেরে ফেলেছেন এমন ধারণা থেকে বাড়ির দাম এ বছর কম থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল টরন্টো রিজিয়নাল রিয়েল এস্টেট বোর্ড। ব্যাংক অব কানাডা বুধবার বেঞ্চমার্ক সুদের হার দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করেছে। কোভিড-১৯ মহামারির দুই বছরে সুদের হার অপরিবর্তীই ছিল।
সুদের হার বৃদ্ধির পরও নিকট ভবিষ্যতে বাড়ির দাম কমার সম্ভাবনা দেখছে না বোর্ড। বোর্ডের প্রধান বাজার বিশ্লেষক জেসন মার্সরা বলেন, সরবরাহ কম থাকায় মূল্য বৃদ্ধির গতি শ্লথ হতে কিছুটা সময় লাগবে। ২০২২ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে সেটা দেখা যেতে পারে।