
অন্টারিওর পরবর্তী বাজেটে কোভিড-১৯ থেকে উত্তরণের একটা পথরেখা নির্ধারণ করে দেবে। অংশীজনদের অনেকেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে হাসপাতালের বাইরেও চিন্তা করার আহ্বান জানাচ্ছেন।
কোভিড-১৯ মহামারির ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে স্বাস্থ্য খাতের ওপর। হাসপাতাল থেকে লং-টার্ম কেয়ার ও ল্যাবরেটরি পর্যন্ত বিস্তৃত এই প্রভাব। মহামারির শুরু থেকে হাসপাতালে শয্যা বাড়াতে ৫০০ কোটি ডলার দিয়েছে সরকার। এই বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছে অন্টারিও হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশন। কোভিড-১৯ এর কারণে বিলম্বিত অস্ত্রোপচার ও অন্যান্য সেবা হাসপাতালগুলো পুনরায় শুরু করেছে। এ অবস্থঅয় হাসপাতালের আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য ও কোভিড-১৯ এর চাপ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনে মূল পরিচালন তহবিল ৩ দশমিক ৫ শতাংশ অথবা ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার বাড়ানো প্রয়োজন। প্রাক-বাজেট প্রস্তবনায় এমনটাই জানিয়েছে অন্টারিও হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশন।
এর বাইরে অনিস্পন্ন অস্ত্রোপচারগুলো কমাতে আরও তহবিলও চেয়েছে হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশন। সেই সঙ্গে বাড়তি শয্যার জন্য তহবিল প্রদান অব্যাহত রাখার কথাও বলেছে তারা, যে প্রতিশ্রুতি দুই বছর ধরে দেওয়া হয়েছে।
প্রোগ্রেসিভ কনজার্ভেটিভ সরকার বাজেট প্রদানের সময় ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করেছে। ওই সময় থেকেই ২ জুন অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হবে। অর্থমন্ত্রী পিটার বেথলেনফালভির একজন মুখপাত্র বলেছেন, অন্টারিওর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অধিকতর টেকসই করতে এ খাতে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা তিনি অনুধাবন করতে পারেন।
অন্টারিও হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে বলেছে, হাসপাতালগুলোর ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছে তা মোকাবেলায় অন্য ক্ষেত্রেও বেশি পরিমাণে অর্থায়ন প্রয়োজন। জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত বিকল্প স্তরের সেবা দেওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৮০০। এদেরকে হাসপাতালের বাইরে অন্যান্য স্থানে যেমন বাড়িতে বা লং-টার্ম কেয়ার হোমে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হয়েছে। তবে এ ধরনের সেবার একটা বিপদও আছে। লং-টার্ম কেয়ার হোমে ও বাড়িতে সীমিত সেবা প্রদান নির্দেশ করে এটি।
অন্টারিও মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ডা. অ্যাডাম কাসাম বলেন, মহামারির আগেও ২০১৯-২০ সালে ১৩ লাখ ‘হসপিটাল বেড ডেজ’-এর সমপরিমাণ বিকল্প স্তরের রোগী সেবা দেওয়া হয়েছিল। এর সঙ্গে জড়িত খরচের পরিমাণ ৬৫ কোটি ডলার। অংকটা পরিস্কার। উপযুক্ত স্থানে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার মধ্য দিয়ে বিপুল অংকের স্বাস্থ্য সেবা ব্যয় এড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
অন্টারিও লং-টার্ম কেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডোনা ডানকান বলেন, মহামারি চলাকালে সরকার এ খাতে নজিরবিহীন তহবিল জোগান দিয়েছে। কোভিড-১৯ এর ব্যয় মূল প্রাক্কলনকেও ছাপিয়ে গেছে।
এই মাসে সমাপ্ত অর্থবছরে লং-টার্ম কেয়ার খাত অতিরিক্ত ২৭ কোটি ডলার খরচের মুখে পড়তে যাচ্ছে। এই প্রবণতা বিবেচনায় নিলে ২০২২ ও ২০২৩ সালে ব্যয় দাঁড়াবে ৮০ কোটি ডলার।
এছাড়া মেডিকেল ল্যাবরেটরি প্রফেশনালস’ অ্যাসোসিয়েশন অব অন্টারিও প্রশিক্ষণ ও ক্লিনিক্যাল প্লেসমেন্টে আগামী চার বছরের জন্য ৬২ লাখ ডলার বরাদ্দ দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে।