পূর্ণাঙ্গ একটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা উদ্যোগটি আবার শুরু করার ব্যাপারে কানাডা ও ভারত সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কানাডার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী মেরি এনজি। নয়া দিল্লিতে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পিযুষ গইয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে উভয় দেশ ‘অগ্রিম অগ্রগতি’ চুক্তির কথা ভাবছে।
তিনি বলেন, এর ফলে কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট বা সেপার জন্য একটি কর্মকাঠামো পাওয়া যাবে। ২০০৮ সাল থেকেই দ্বিপক্ষীয় চুক্তিটির বিষয়ে কথা বলে আসছে দেশ দুটি।
লক্ষ্যগুলোর মধ্যে আছে পণ্য ও সেবার বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিশ্রুতি, রুলস অব অরিজিন প্রতিষ্ঠা, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কারিগরী বাধা দূরীকরণ এবং বিরোধ মীমাংসার একটি পদ্ধতি তৈরি করা।
নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার সাম্প্রতি বছরগুলোতে একাধিক নীতির পাশাপাশি কাঠামোগত কিছু পরিবর্তনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে, যা আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের দুয়ার উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে দুদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং ২০২১ সালে তা ৬২৯ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। আগের বছরের চেয়ে যা ১২ শতাংশ বেশি।
কৃষিপণ্য, রাসায়নিক, অটোমোবাইল, জ¦ালানি, ইলেক্ট্রনিক এবং খনিজ ও ধাতুর ক্ষেত্রে বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক দৃঢ় করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে উভয় পক্ষ। ডালের ক্ষেত্রে কানাডার কীটনাশকের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাকে স্বীকৃতি দিতে কাজ করার ব্যাপারেও একমত হয়েছেন এনজি ও গইয়াল। কানাডা থেকে ভারতে রপ্তানি হওয়া পণ্যগুলোর অন্যতম ডাল। কানাডা ভারতে যে পরিমাণ কৃষিপণ্য রপ্তানি করে তার ৯৫ শতাংশই মসুর ও ছোলা। তবে স্থানীয় উৎপাদনকে চাঙ্গা করতে বিদেশ থেকে এসব পণ্য আমদানির ওপর ভারত শুল্ক আরোপের পাশাপাশি কীটনাশকের ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে।
বাণিজ্য আলোচনা নতুন করে শুরু করা কানাডার অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক বলে জানিয়েছেন বিজনেস কাউন্সিল অব কানাডার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোল্ডি হাইডার। তিনি বলেন, ভারতকে বাদ দিয়ে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে সাফল্য পাওয়ার সুযোগ নেই। ধারণা করা হয়ে থাকে, শিগগিরই ভারতে বিশে^র সবচেয়ে জনবহুল দেশ হতে যাচ্ছে। একই সঙ্গে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিও হতে যাচ্ছে তারা।