অনুভূতি, আবেগ, সমাজের কথা, নারী ও তার কল্পনা শক্তির বিকাশ ঘটিয়েছেন ডায়েরির মাধ্যমে। এই লেখার মাধ্যমে লেখক যেমন তার রচনাসমূহকে করে তুলেছেন হৃদয়গ্রাহী, তেমনি প্রবাসের এবং বাংলাদেশের বাঙ্গালিদের অসঙ্গতিকে তুলে ধরেছেন নানা প্রসঙ্গে।
লেখক মনে করেন, ‘বেলা শেষের ডায়েরি পাঠকের মন জয় করবে। গ্রন্থটির মাধ্যমে পাঠকরা তাদের নিজ জীবনের অনেক গল্প খুঁজে পাবে।’
তিনি বলেন, ‘জীবনের অধিকাংশ সময় প্রবাসে বসবাস করলেও আমার ভাবনা, কল্পনা এবং জীবনের সবকিছুই বাংলাদেশ ও বাঙ্গালিদের ঘিরেই। এদেশের মাটির গন্ধে বারবার ফিরে আসি এখানে। বাস্তব জীবনে পথে চলতে গেলে অনেক কিছুই মনের ভেতর গেথে যায়। কখনও মন প্রতিবাদী হয়ে ওঠে, নানা রকম প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। সে প্রতিক্রিয়ার ফলে আমি যা অনুভব করি তাই ই লেখার চেষ্টা করি।’
কানাডার অন্যতম বড় শহর টরন্টোতে স্থায়ী বসবাসকারী তাসরীনা শিখার বেড়ে ওঠা কুমিল্লা জেলা শহরে। সেখানে স্কুল ও কলেজ জীবন শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। জীবন যাপনের পাশাপাশি তিনি জীবন উদযাপন করেন লেখালেখির খরশ্রোতা নদীতে বৈঠা বেয়ে।
এর আগে ২০১১ সালে ‘লেখকের কাব্যালাপ’, ২০১৩ সালে ‘আকাশের ওপারে আকাশ’ ২০১৪ সালে ‘মেঘের ভেলায় ভেসে’ এবং ২০১৮ সালে ‘জীবনের বর্ণমালা’ শিরোনামের চারটি বই প্রকাশিত হয়েছে।