
গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে কানাডায়, লুটেরা বিরোধী মঞ্চ, কানাডা’র আহ্বানে, “বেগমপাড়া ও লুটেরা বিরোধী আন্দোলনের দ্বিতীয় বার্ষিকী ও দুর্নীতি-অর্থপাচার রোধে প্রবাসীদের করণীয়” বিষয়ক এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এই সভায় অতিথি আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ রাশেদ খান মেনন, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম এম আকাশ। সভায় কি-নোট উত্থাপন ও সঞ্চালনা করেন, লেখক ও এক্টিভিস্ট ড. মঞ্জুরে খোদা (টরিক)।
সভায় বেগমপাড়া ও লুটেরা বিরোধী আন্দোলকে কিভাবে অগ্রসর করা যায় এবং এ আন্দোলনকে শুধু কানাডায় নয়, বিশ্বের যে সব দেশে অর্থ পাচার হয় সেখানকার নাগরিকদেরকেও কানাডার এই দৃস্টান্ত অনুসরণ করে এগিয়ে আসতে হবে, সোচ্চার হতে হবে।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের এই আন্দোলন দেশের ভাবমূর্তির কোন ক্ষতি করেনি বরং এ আন্দোলন দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছে। আপনাদেরকে সাধুবাদ জানাই। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের যে সব নাগরিকরা স্থায়ীভাবে বিদেশে বসবাস করেন, তারা যেন তাদের বৈধ সম্পদ বিক্রী করে বিদেশে নিয়ে যেতে পারেন অথবা সে অর্থে দেশে বন্ড কিনতে পারেন, বিভিন্ন মেয়াদে তার সুবিধা নিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, সংসদে অর্থপাচার ও দুর্নীতি নিয়ে সামান্য আলোচনা হয়, অধিকাংশ সাংসদই এগুলো নিয়ে আগ্রহী নয়। সংসদে ব্যবসায়ীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলে বর্তমান কাঠামোয় অর্থসম্পদ পাচার, দুর্নীতি-অনিয়ম লুটপাট বন্ধ করা কঠিন।
এম এম আকাশ দুর্নীতি-অর্থপাচার ও বেগমপাড়া বিরোধী কানাডার এ আন্দোলনের প্রশংসা করে বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে যে কাজটি করতে পারিনি, কানাডার প্রবাসীরা সে কাজটি করেছেন। এজন্য তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের সবকিছুকে নিয়ন্ত্রন করছেন দুর্নীতিগ্রস্থ রাজনীতিক, ব্যবসায়িক ও আমলাদের একটি ত্রিচক্রিক ধারা।
কানাডা থেকে এ আন্দোলনের সংগঠক ও অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রেজাউর রহমান, হাসান মাহমুদ, ফাইজুল করিম, আব্দুল হালিম মিয়া, আহমেদ হোসেন, সুমন সাঈদ, নওশের আলী, মাহবুব চৌধুরী রনি, মাসুদ লিটন, এ এন রাশেদা, মাশুক মিয়া, রুবিনা চৌধুরী, মৈত্রেয়ী দেবী, ডা. জ্যাকব, হাসান রনি, অশোক কর্মকার, মোহাম্মাদ বাশার, রেজা অনিরুদ্ধ, রোকেয়া রাজু, প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্রায়ই সংবাদপত্রে অর্থপাচারের সংবাদ আসে। সরকারকে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। যে সব বিত্তশালী ও ক্ষমতাবান বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করে, জনগণকে পথে বসিয়ে- দেশ থেকে অর্থসম্পদ বিদেশে পাচার করে প্রজান্মার সুখে ও নিরাপদে থাকতে চায় তাদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। কানাডাকে বাংলাদেশের অভিযুক্ত দুর্নীতিবাজদের অভয়ারণ্য হতে দেয়া যাবে না। আমন্ত্রিত অতিথিরা কানাডা প্রবাসীদের বাংলাদেশের সরকার-প্রশাসনের ব্যর্থতা ও দূর্বলতা নিয়ে করা নানা প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ।