কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিদেশে কর্মরত কর্মীদের রহস্যজনক অসুস্থতার উপসর্গগুলোর প্রতি নজর রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। কিউবায় কানাডিয়ান ও মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের মধ্যে ব্যাখ্যাতীত এই স্বাস্থ্য সমস্যা ধরা পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে কানাডার তরফ থেকেও এ আহ্বান জানানো হলো।
অটোয়া সদরদপ্তরে সব জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক, বিদেশি মিশন ও দূতাবাসে কর্মরত বিভিন্ন ফেডারেল বিভাগের প্রধানদের গত সেপ্টেম্বরে এ বিষয়ে ব্রিফ করে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা। সম্প্রতি প্রকাশিত এক ব্রিফিং নোট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এরপর গত ৭ অক্টোবর গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের সব কর্মীর কাছে বার্তা পাঠানো হয়। তাতে উপসর্গের ধরন ও কিভাবে তা জানাতে হবে সে সম্পর্কে বলা হয়।
কিউবার হাভানায় নিযুক্ত কানাডিয়ানের কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ২০১৭ সাল থেকে মাথা ব্যথা, স্মুতি বিলোপ, মনোযোগ দিতে অসমর্থ হওয়া, দৃষ্টি সমস্যা, শব্দের প্রওতি সংবেনশীলতা. তন্দ্রাচ্ছন্নতা, বমি বমি ভাব, ঘুমের ব্যাঘাত ও নাক দিয়ে রক্ত বেরোনোর সমস্যা দেখা যাচ্ছে। ১৫ জনের মধ্যে অ্যাকুয়ার্ড ব্রেইন ইনজুরির (এবিআই) বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স।
কিউবায় কর্মরত কিছু মার্কিন কর্মকর্তার মধ্যেও একই সমস্যা দেখা গেছে, সাধারণভাবে যা হাভানা সিনড্রোম নামে পরিচিত। অতি সম্প্রতি ওয়াশিংটন, অস্ট্রিয়া ও চীনে কর্মরত মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যেও একই সমস্যা পরিলক্ষিত হয়েছে।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা নভেম্বরের নোটে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে, বিদেশে কর্মরত মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যাখ্যাতীত স্বাস্থ্য সমস্যার সংবাদ অব্যাহতভাবে গণমাধ্যমে আসছে। নিশ্চিতভাবেই এটা বিভিন্ন দেশে কর্মরত কানাডা সরকারের কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।