ইটোবিকোকের পার্কে কোয়োটকে খাবার না খাওয়ানোর জন্য বাসিন্দাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন টরন্টোর কর্মকর্তারা। সিটি কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রচুর বন্যপ্রাণির আবাসস্থল লেক অন্টারিও বরাবর কর্নেল স্যামুয়েল স্মিথ পার্কে লোকজন খাবার রেখে আসছে বলে একাধিক খবর তারা পেয়েছেন।
সিটি কর্মীরা শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কোয়োট ও বন্য প্রাণিদের খাওয়ানোর ফলে তাদের উপস্থিতি বেড়ে যাচ্ছে এবং মানুষ সম্পর্কে তাদের ভয় হ্রাস পাচ্ছে। এতে বন্য প্রাণি ও নেবারহুড উভয়ের ক্ষেত্রেই সমস্যা থৈরি হচ্ছে।
২০২১ সালে টরন্টোতে কোয়োট দেখতে পাওয়ার ৩ হাজার ৬০০টি ঘটনার কথা সিটি কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছে। দরজার বাইরে খাবার পড়ে থাকার কারণে কোয়োটের উপস্থিতি টরন্টোতে নতুন কিছু নয়। ২০২১ সালের নভেম্বরে জাংশন নেবারহুডের বাসিন্দারা কোয়োটের উপস্থিতির একাধিক ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। কোয়োট সম্পর্কে সতর্কতা সত্ত্বেও অনেকে স্কুলের খেলার মাঠে মাংস ফেলে রাখা এর একটি কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। গত গ্রীষ্মে স্কারবোরোতে ১০ বছর বয়সী একটি শিশু ও তার কুকুরকে কোয়োটের তাড়া করার খবর প্রকাশিত হয়। এতে শিশুটি আহত না হলেও কুকুরটি গুরুতর জখম হয়। ওই নেবারহুডে বন্য প্রাণিদের জন্য খাবার ফেলে রাখা হয়েছিল কিনা সেটা অবশ্য জানা যায়নি। তবে ওই আক্রমণের আগেও এলাকাটিতে কোয়োট দেখা গেছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
সিটি কর্তৃপক্ষ বলছে, কোয়োট দেখা যাওয়ার বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটছে ইচ্ছাকৃতভাবে বাইরে খাবার ফেলে রাখার কারণে। কোয়োটকে খাবার দেওয়া সিটির আইন বিরুদ্ধ এবং এর লঙ্ঘন হলে ৩৬৫ ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে।
কোয়োট সাধারণত মানুষের কোনো ক্ষতি না করলেও পোষা প্রাণির জন্য হুমকির। আপনি যদি কোয়োটের সামনে পড়ে যান তাহলে দৌড়ে না পালানোর পরামর্শ দিয়েছে সিটি কর্তৃপক্ষ। বরং তার দিকে চোখ রেখে আস্তে করে সরে পড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।