উৎসবের মৌসুম হওয়ায় আগে থেকেই মেরিটাইমসজুড়ে ওল্ড ট্রায়াঙ্গেল আলেহাউজগুলোতে পার্টি ও ডিনারের ব্যাপক তোড়জোড় চলছিল। কিন্তু ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক সংক্রমণের কারণে সম্প্রতি সেই শক্তি যেনো উবে গেছে। সরকারও রেস্তোরাঁর ধারণক্ষমতার সীমা কমিয়ে আনা ও শারীরিক দূরত্ব বিধি আরোপের মাধ্যমে নতুন বিধিনিষেধ জারি করেছে।
একটি ওল্ড ট্রায়াঙ্গেলের কর্ণধার ব্রেন্ডান ডোহার্টি বলছিলেন, এটা সত্যিই খুব হতাশার। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেও নতুন বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে জানার পর এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন তিনি। ডোহার্টি বলেন, মহামারিজুড়েই কিছু খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। এটা আরও অন্ধকার সময়।
সবচেয়ে চমৎকার সময়টা কিভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি, ধারণক্ষমতার সীমা কমিয়ে আনা ও অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্য দিয়ে কিভাবে দুঃস্বপ্নে পরিণত হলো সেটা নিয়ে এখন বিলাপ করছেন ডোহার্টির মতো আরও অনেক ছোট ব্যবসার মালিক। গ্রীষ্ম ও হেমন্তে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসায় মহামারি গেল বলে অনেকের মধ্যেই একটা ধারণা তৈরি হয়েছিল। তারাই এখন আবারও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, কর্মী ছাঁটাই এমনকি ব্যবসা গুটিয়ে ফেলার শঙ্কায় রয়েছেন।
যদিও সাম্প্রতিক ঢেউয়ের মধ্যেও ওল্ড ট্রায়াঙ্গেলগুলো ব্যবসা খোলা রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে তারপরও ডোহার্টি বলছেন, সেটা কঠিন এবং এরই মধ্যে আমার পরিচালন ঘণ্টা কমিয়ে এনেছি। পরীক্ষা ও আইসোলেশন সংক্রান্ত প্রদেশের যে নীতিমালা তার আওতায় আমার কিচেন স্টাফের অর্ধেককে আইসোলেশনে পাঠাতে হয়েছে।
একইরকম অবস্থা টরন্টোর লউস সাইফরা ব্রিউ ওয়ার্কস অ্যান্ড স্টাউট আইরিশ পাবেরও। প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট এরিন গ্যামেলিন বলছিলেন, নতুন বিধিনিষেধ আরোপের আগেই ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ছিটকে গেছে। কারণ, ওমিক্রনের ভয়ে কানাডিয়ানরা বাইরে খাবার চিন্তা থেকে সরে এসেছেন। বিষয়টা এমন যে, ৫০ শতাংশ ধারণক্ষমতাও আমাদের ব্যবস্থাপনা করতে হচ্ছে না। কারণ, গ্রাহকরাই তা বাতিল করছেন।
শনিবার তার প্রতিষ্ঠানের পুরোটাই সংরক্ষিত ছিল। কিন্তু একজন বাদে সবাই পরে তা বুকিং বাতিল করেন। গ্যামেলিন বলছিলেন, এটা আমাদের শিল্প ধ্বংসের নামান্তর। রেস্তোরাঁগুলো মাসের পর মাস সুতোর ওপর ঝুলে আছে।