কানাডার নতুন ভ্রমণ বিধিনিষেধের পেছনে যে সুক্ষ বর্ণবাদ আছে ফেডারেল সরকারের তা স্বীকার করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন আফ্রিকান কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগিরির সদস্যরা। সেই সঙ্গে কানাডার এ পদক্ষেপে তারা আহত হয়েছেন বলেও জানান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মাইকেল এমবায়ে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগিরির সোশ্যাল ওয়ার্ক বিভাগের খ-কালীন এ শিক্ষক একই সঙ্গে জাতিসংঘ ও ফেডারেল সরকারের অভিবাসন বিষয়ক পরামর্শক হিসেবেও কাজ করছেন। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই এবং নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বিস্তার রোধে কানাডা সরকারের উদ্যোগের আমি প্রশংসা করি। তবে আফ্রিকার দেশগুলোর ওপর অন্যভাবে কেন নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হলে ফেডারেল সরকারের তার ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইজিপ্টসহ আফ্রিকার ১০টি দেশের যেকোনো একটি ভ্রমণকারীর কানাডিয়ানদের ভ্রমণকারী দেশে কোভিড পরীক্ষা করতে হবে। ট্রানজিটের সময় তাদেরকে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করতে হবে এবং কানাডায় প্রবেশের পর কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার আগে তৃতীয়র পরীক্ষাটি করতে হবে।
প্রথমদিকে কানাডা ওই অঞ্চলের নাগরিকদের ওপর কানাডা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তবে আটকে পড়া কানাডিয়ানরা যাতে দেশে ফিরতে পারেন সেজন্য এই নিয়মে পরবর্তীতে পরিবর্তন আনে কানাডা।
পরিবহনমন্ত্রী ওমর আলঘাবরা বলেন, প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা থেকে মার্কিন নাগরিকদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের জন্য অন্য দেশে যাওয়ার আগে পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু রেখেছিল এবং সেখানে নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণও খুব কম ছিল।
তবে এমবায়ে বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকাও পরীক্ষা করছিল। কানাডার রাজনীতিতে যে বর্ণবাদ বিদ্যমান ওই দেশের পরীক্ষার ফলাফল গ্রহণ না করাটা তার উদাহরণ।