
২০০৯ সালে জেমস ডুলাকের বন্ধু যখন মারা যান তখন তার মরদেহটিও অন্যদের মতো উত্তর নুনাভাট কমিউনিটির বিদ্যুৎবিহীন একটি ছাউনির মধ্যে রাখতে হয়েছিল। ব্যাগে ভরা বন্ধুর জমাট মরদেহ ও ছাউনির মেঝেতে রক্ত পড়ে থাকতে দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন গুয়োয়ার বাসিন্দা ডুলাক।
তিনি বলছিলেন, আরসিএমপির ব্যাগে ভরা মরদেহটি জমাটবদ্ধ অবস্থায় মেঝেতে রাখা হয়েছিল। তার পায়ে মাথা ছোঁয়ানো আরও একটি মরদেহও মেঝেতে রাখা ছিল।
এ নিয়ে গত জানুয়ারিতে তার অঞ্চলের আইনসভার সদস্য টনি আকোয়াককে একটি চিঠি লিখেছিলেন ডুলাক। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, তার বন্ধুর হাত ও পা বাঁকানো অবস্থায় ছিল, যা কফিনে ভরা অসম্ভব। এর পরিবর্তে মরদেহটি একটি কার্ডবোর্ডের বাক্সে ভরতে হয়েছিল।
প্রায় এক হাজার ৩০০ মানুষের কমিউনিটিতে মর্গের বন্দোবস্ত না থাকায় আচ্ছাদিত পুরনো গুদাম ঘরটিতেই মরদেহ সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। ডুলাকের ভাষায় যা জানালায় বোর্ড লাগানো একটি কনটেইনার। তিনি বলেন, কেউ মারা গেলে মরদেহটি রাখার মতো কোনো জায়গা নেই। মেঝেতেই নেওয়া হয় এবং মরদেহ একাধিক হলে একটির ওপর আরেকটি রাখতে হয়।
আকোয়াকের কাছে এ নিয়ে চিঠি লেখার পরও অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি বলে জানান ডুলাক। সম্প্রতি আকোয়াকের একজন বন্ধুর মৃত্যুর পর তার মরদেহটিও একইভাবে রাখা হয়েছিল। ডুলাক বলছিলেন, আরও দুটি মরদেহ তার ওপর রাখা হয়েছিল। একটি ছিল পায়ের পাতার ওপর, অন্যটি পায়ের ওপর। এটা অবিশ^াস্য। আমি মরদেহটি পরিস্কার করতে চাইলাম। কিন্তু ফ্রোজেন হওয়ায় তা সম্ভব হলো না। এককথায় এটা হৃদয়বিদারক।
আকোয়াক বলেন, বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই আমি ছাউনিটি মর্গ হিসেবে ব্যবহার করতে দেখে আসছি। ছয়বার আমি বিষয়টি আইনসভায় উত্থাপন করেছি। বিষয়টি সর্বশেষ উত্থাপন করি এই হেমন্তে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
গত সেপ্টেম্বরে আইনসভায় বিষয়টি উত্থাপন করে আকোয়াক বলেছিলেন, আমার বিশ^াস এটাই শেষবার। এরপর আর আমাকে এটি উত্থাপন করার প্রয়োজন হবে না।