মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
14.3 C
Toronto

Latest Posts

সেপ্টেম্বরে যাত্রী বৃদ্ধির আশা মেট্রোলিংকসের

- Advertisement -

কোভিড-১৯ মহামারির শুরুতে টরন্টোর ফাইন্যান্সিয়াল ডিস্ট্রিক্টের ব্যাংকগুলো কর্মীদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার পর থেকেই এটি খুব বেশি নীরব। এই অবস্থার এবার পরিবর্তনের পালা। কারণ, টরন্টোতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা তিন মাস আগের তুলনায় ৯৫ শতাংশ কমেছে। অর্ধেকের বেশি প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিক উভয় ডোজের ভ্যাকসিনই পেয়ে গেছেন। দুই মাসের মধ্যে স্কুলগুলোও খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এর অর্থ হচ্ছে, সেই সময় নাগাদ অনেক কর্মীই অফিসে ফিরবেন।

- Advertisement -

মেট্রোলিংকসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফিল ভার্স্টার বলেন, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর থেকে যাত্রী বৃদ্ধি শুরু হবে বলে আমি খুব বেশি আশাবাদী। কর্মীদের অফিসে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের পরিকল্পনা কি সে ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কথা বলতে আমি আমাদের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি।

ব্যাংকারদের অফিসে ফিরিয়ে আনা কতটা শক্ত তা নিয়ে বিশ^ব্যাপীই আর্থিক খাতে এক ধরনের মতানৈক্য তৈরি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কানাডার ব্যাংক, সম্পদ ব্যবস্থাপক ও ইন্স্যুরাররা কর্মীদের অফিসে ফেরানোর পক্ষে নন। কেউ কেউ আবার রিমোট ও হাইব্রিড পদ্ধতিকে স্থায়ী রূপ দিতে চাইছেন। হিসাবমতে, টরন্টো এলাকাতে ২ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

অনেক কর্মীই যে তাদের সহকর্মীদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত, কিছু সমীক্ষায় তা উঠে এসেছে। ২ হাজার কানাডিয়ানের ওপর সম্প্রতি পরিচালিত কেপিএমজির এক সমীক্ষার ফলাফল বলছে, ৬৩ শতাংশ কর্মী অফিসে ফিরতে চান।

স্কটল্যান্ডের স্টকরেল রেলওয়েজ লিমিটেডের সাবেক প্রধান ভার্স্টার বলেন, আমার মনে হয় হয় মহামারি আগামী কয়েক বছরের জন্য ভ্রমণের ধরনই বদলে দেবে। মেট্রোলিংকসের জন্য সেটা একটা চ্যালেঞ্জ। কারণ, আগামী এক দশকে সাবওয়ে, লাইট রেল ও অন্যান্য ট্রানজিট প্রকল্পে আমরা ৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছি।

আগামীতে বর্ধিত জনসংখ্যার চাহিদার ওপর ভিত্তি করে বিনিয়োগের এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। কারণ, রায়াসন ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা অনুযায়ী, ফিনিক্সের পরই উত্তর আমেরিকার দ্বিতীয় দ্রুত বর্ধনশীল নগর হতে যাচ্ছে টরন্টো। মহামারি মূলধনী বিনিয়োগের এ পরিকল্পনায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। কারণ, পরিকল্পনাটি করা হয়েছে ৬০ বছরের পূর্বাভাসের ভিত্তিতে। তবে কোম্পানিগুলোর নতুন হাইব্রিড কর্ম নীতির ফলে মেট্রোলিংকসের পরিচালন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হতে পারে।

ভার্স্টার বলেন, মহামারির আগে সকালের ব্যস্ত সময়টাতে মেট্রোলিংকস ১২টি কার, ডাবল ডেকার ট্রেন যার প্রতিটির যাত্রী ধারণক্ষমতা ২ হাজার, ডাউনটাইনের মধ্য দিয়ে পরিচালিত করতো এবং সন্ধ্যায় উপশহরগুলোতে ফিরে আসতো। এখন বেশি সংখ্যক ছোট ট্রেন পরিচালনা করতে হতে পারে, যাতে করে বাড়িতে থেকে কাজ করা কর্মীদের সেবা দেওয়া যায়। বেশি সংখ্যক যাত্রী আকর্ষণের এটা একটা কৌশল। ইউনিয়ন স্টেশনে যাত্রী সংখ্যা এখনও মহামারি-পূর্ব সময়ের চেয়ে ৯০ শতাংশ কম।

- Advertisement -

Latest Posts

Don't Miss

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.