যারা উভয় ডোজের ভ্যাকসিনই নিয়েছেন তাদের জন্য সীমান্তে বিধিনিষেধ শিথিল করার পদক্ষেপ নিচ্ছে কানাডা। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো মঙ্গলবার এ ঘোষণা দিলেও এর দিনক্ষণ উল্লেখ করেননি।
দুই সপ্তাহ পরই শেষ হচ্ছে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভ্রমণে বিধিনিষেধের মেয়াদ। এর মেয়াদ আরও ৩০ দিন যাতে না বাড়ানো হয় সেজন্য ফেডারেল সরকারের ওপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে। তবে ২১ জুনের পর পরিস্থিতি যে বদলে যাচ্ছে সে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন কোর্স সম্পন্নকারীদের জন্য নিয়ম-কানুন কীভাবে শিথিল করা যায় আমরা সেটা নিয়ে কাজ করছি। তবে সেটা বিজ্ঞানের ভিত্তিতে। যারা উভয় ডোজ ভ্যাকসিনই নিয়েছেন তাদের জন্য ভ্রমণ বিধিনিষেধ শিথিলের ঘোষণা আগামীতে আসবে।
ধীর গতিতে শুরু হলেও কানাডার ভ্যাকসিনেশনের গতি সম্প্রতি অস্বাভাবিক বেড়েছে। সোমবার পর্যন্ত অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৬২ শতাংশ কানাডিয়ান। উভয় ডোজের ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৮ শতাংশ বা ৩০ লাখ কানাডিয়ান। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ৪২ শতাংশ নাগরিক এরই মধ্যে দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে ফেলেছেন। তিন সপ্তাহ আগে কানাডায় উভয় ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহীতা ছিলেন মোট জনসংখ্যার মাত্র ৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
ট্রুডো বলেন, এখনও অনেক পথ পাড়ি দেওয়ার বাকি, বিশেষ করে নতুন ভ্যারিয়েন্টের চরিত্র ও তাদের সম্ভাব্য বিস্তারের কথা ধরলে। যদিও লক্ষ্যণীয় মাত্রায় সুরক্ষা দিতে ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে এক ডোজই যথেষ্ট তারপরও এ সুরক্ষা পূর্ণাঙ্গ নয়। তাই জনগণের উচিত উভয় ডোজের ভ্যাকসিনই নেওয়া। সে কারণেই উভয় ডোজের ভ্যাকসিন যারা নিয়েছেন বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে তাদের কথা ভেবেই।
কানাডা না চাইলেও ২১ জুনের আাগেই যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে সীমান্তে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সম্প্রতি জল্পনা চলছে। যদিও মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বেশি কিছু বলেননি হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি। খবর: দ্য কানাডিয়ান প্রেস।