টরন্টোর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের রাশ টানতে এ আদেশ জারি করা হয়েছে, গত ১০ মে থেকে যা কার্যকর হয়েছে।
এ-সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেকশন ২২ এর এ আদেশের অর্থ হলো প্রাদেশিক লকডাউন বিধিবিধানকে আরও শক্তিশালী করা। এর ফলে শিক্ষা আইনের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে এমন সব স্কুলে শেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকবে।
সম্পূরক এক নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রদেশের স্কুল বন্ধের এই নির্দেশ কেবল সশরীরে পাঠদানই বন্ধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। শিক্ষা ব্যতিরেকে অন্য উদ্দেশে স্কুলগামী শিশুরা স্কুল আঙিনায় জড়ো হতে চাইলে তাতে কোনো বাধা নেই।
এই আদেশ অমান্যকারীদের ৭৫ ডলার জরিমানা ও কোর্ট ফি গুণতে হবে। পাশাপাশি প্রভিন্সিয়াল ওফেন্সেস অ্যাক্টের আওতায় আদেশ লঙ্ঘণকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করা যাবে। মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে ব্যক্তির কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার এবং করপোরেশনের কাছ থেকে প্রতিদিন অথবা দিনের একটি অংশের জন্য সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ডলার জরিমানা আদায় করা হবে।
জমায়েত সংক্রান্ত বিধিনিষেধ পাশ কাটিয়ে বিদ্যালয়গুলোর দরজা খুলবে কিনা কয়েকদিন ধরেই সেই প্রশ্ন ঘুরছে। টরন্টো জনস্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. এইলিন দ্য ভিলা সোমবার বলেন, কিছু ধর্মীয় স্কুল কার্যক্রম পরিচালনা করায় সেগুলোর ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
তবে ঠিক কতগুলো তদন্ত চলছে সে ব্যাপারে সামান্য তথ্যই প্রকাশ করা হয়েছে। ডা. এইলিন দ্য ভিলা বলেন, টরন্টো জনস্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে এই মুহর্তে বেশ কয়েকটি তদন্ত চলছে। আমরা সবাই জানেন এটা একটা জটিল পরিস্থিতি।
অন্টারিওর সব স্কুলের শেণিকক্ষে পাঠদান গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কবে নাগাদ স্কুলগুলো খুলতে পারে সে সংক্রান্ত কোনো ইঙ্গিত এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। রিওপেনিং অন্টারিও রেগুলেশনের আওতায় ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো সর্বোচ্চ ১০ জন ব্যক্তি নিয়ে পরিচালনার অনুমোদন পেয়েছে।