শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
11.1 C
Toronto

Latest Posts

ভ্যাকসিন সনদ নিয়ে বিতর্ক

- Advertisement -
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো…ছবি/পিএম অফিস

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সনদ ব্যবস্থা তৈরির বিষয়ে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে কানাডা সরকার, যাতে করে আন্তর্জাতিক ভ্রমণে এটি কাজে আসে। তবে এ ধরনের ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অটোয়ার আমলা ও কিছু রাজনীতিবিদ।

ভ্যাকসিন সনদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, আমরা বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে এ নিয়ে কাজ করছি এবং সময় হলে এ নিয়ে বিস্তারিত ঘোষণা দেব। কীভাবে মহামারি থেকে বেরিয়ে আসা যায় এই মুহূর্তে আমাদের মনোযোগ এখন সেদিকেই।

- Advertisement -

ভ্যাকসিন সনদের ব্যাপারে ফেডারেল সরকারের মধ্যে যে অনাগ্রহ তা বিশ^ স্বাস্থ সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সঙ্গে মিলে যায়। ভ্যাকসিন সনদকে নিরুৎসাহিত করে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রবেশ ও বহির্গমনের জন্য ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রমাণপত্রের শর্ত আরোপ করা জাতীয় কর্তৃপক্ষ ও উড়োজাহাজ পরিবহণ সংস্থাগুলোর উচিত হবে না। কারণ, সংক্রমণ হ্রাসে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে অনেক কিছুই এখনও অজানা।

কানাডা এ ধরনের প্রমাণপত্র তৈরির জন্য কোনো দিনক্ষণ এখনও নির্ধারণ করেনি। তবে ভ্যাকসিন গ্রহণের বিষয়টি সীমান্তে কীভাবে নিশ্চিত করা যায় সে ব্যাপারে সহায়তা প্রদানে জনস্বাস্থ্য বিভাগ সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলে জানান এর প্রেসিডেন্ট লেইন স্টুয়ার্ট।

এই মুহূর্তে ভ্যাকসিন সনদ ব্যবস্থা চালুর ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা সামনে আসছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ভ্যাকসিন বিজ্ঞানের বর্তমান অবস্থা। কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যাম যেমন বলেছেন, ভ্যাকসিন গ্রহীতা ব্যক্তি যে ভাইরাসটি বহন ও ছড়াচ্ছেন না, সেই তথ্য বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। এটা প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত ভ্যাকসিন সনদ সেভাবে কাজে আসবে না।

বুস্টার শট ও প্রত্যেক ভ্যাকসিন ভ্রমণকারীদের ঠিক কতদিন সুরক্ষা দেবে সেটিও এর সঙ্গে জড়িত। বিজ্ঞানী তো বটেই ভ্যাকসিন উৎপাদনকারীদের কাছেও এটা বড়গ ইস্যু। ডা. তেরেসা ট্যাম শুক্রবার হাউস অব কমন্সে স্বাস্থ বিষয়ক কমিটির শুনানিতে বলেন, বুস্টার শটও মূল ভ্যাকসিনের ফর্মুলা একই হবে কিনা সেটিও এখন পর্যন্ত পরিস্কার নয়। এই বিষয়গুলোতে বিজ্ঞানীরা সমঝোতায় না আসা পর্যন্ত ভ্যাকসিন সনদের মেয়াদ কতদিন হবে সে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো কঠিন। এ ধরনের সনদ নবায়নের বিষয়টিও এর সঙ্গে জড়িত।

ভ্যাকসিন নদনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে এনেছেন ডেপুটি প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাওয়ার্ড এনজু। তিনি বলেন, কোন ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে এ ধরনের সনদ স্বীকৃত হকে কানাডার সরকারকে এই প্রশ্নের মীমাংসা করতে হবে। কানাডা এখন পর্যন্ত চারটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার উৎপাদিত স্পুটনিক ভি ভ্যাকসনিটি নেই এর মধ্যে। একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রও এখন পর্যন্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়নি। অথচ বিপুল সংখ্যক কানাডিয়ানকে ভ্যাকসিনটি দেওয়া হয়েছে।

এরপর আসছে নৈতিক ও গোপনীয়তার বিষয়টি। সব মিলিয়ে ভ্যাকসিন সনদ ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনায় নিয়োজিত সরকারের বিভিন্ন বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের বক্তব্য, ভ্রমণকারিদের থেকে কানাডিয়ানদের সুরক্ষার সবচেয়ে উত্তম পন্থা হচ্ছে সীমান্তে র‌্যাপিড টেস্টের আওতা বাড়ানো। সেই সঙ্গে জাতীয় ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচির ওপর নির্ভরতা বাড়ানো। পাশাপাশি মেনে চলতে হবে বিভিন্ন অঞ্চল ও দেশের স্বাস্থ্যবিধি।

- Advertisement -

Latest Posts

Don't Miss

Stay in touch

To be updated with all the latest news, offers and special announcements.