প্রত্যেক বাড়িতে বিনামূল্যে পোস্টকার্ড পাঠাচ্ছে কানাডা পোস্ট। প্রিয়জনকে চিঠি পাঠিয়ে কানাডিয়ানরা যাতে একে অন্যের কাছাকাছি থাকতে পারে তার অংশ হিসেবে কানাডা পোস্টের এ উদ্যোগ। সোমবার থেকে প্রত্যেক বাড়িতে ১ কোটি ৩৫ লাখ পোস্টকার্ড পৌঁছে যাবে।
অটোয়াতে কানাডা পোস্টের মুখপাত্র সিলভি লাপোয়েন্তে বলেন, প্রত্যেকেই হয় বিয়ের অনুষ্ঠান অথবা শেষকৃত্য বা জন্মদিনের উৎসব থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা প্রত্যেকেই কাউকে না কাউকে হারিয়েছি।
কাউকে স্মরণে রাখার বিষয়টি ব্যক্ত করার একটি মাধ্যম হলো পোস্টকার্ড। চিঠি লেখার মাধ্যমে কানাডিয়ানদের একে অন্যের কাছাকাছি রাখার লক্ষ্যে ‘রাইট হেয়ার রাইট নাউ’ প্রচারণা শুরু করেছে কানাডা পোস্ট। প্রত্যেক পরিবার ছয়টি ডিজাইনের যেকোনো একটি পোস্টকার্ড নিতে পারবে। সেখানে বিভিন্ন বার্তাও লেখা থাকবে। কানাডার যেকোনো প্রান্তের ঠিকানা লিখে পোস্টকার্ডটি যেকোনো কমিউনিটি মেইলবক্স বা পোস্ট অফিসে ফেলা যাবে।
কানাডা পোস্টের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডগ ইটিঙ্গার বলেন, কানাডা পোস্ট চায় প্রত্যেকে নিরাপদ থাকুক। একই সঙ্গে একে অন্যের স্পর্শে থাকুক।
এমন এক সময় কর্মসূচিটি নেওয়া হয়েছে যখন প্রথাগত চিঠি অস্বাভাবিক মাত্রায় হ্রাস পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ২০১৯ সালের প্রতিবেদন বলছে, চিঠি ও পেপার বিল পাঠানো ২০০৬ সাল থেকে ৫৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে গত বছর এটা আবার বেড়েছে বলে দাবি করেন লাপোয়েন্তে। তিনি বলেন, বড়দিনে আমরা ব্যাপক সংখ্যায় লাল ও নীল খামের চল দেখতে পেয়েছি।
বৈশি^ক মহামারি কানাডা পোস্টকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয়। তবে সশরীরে কেনাকাটা সীমিত হওয়ার কারণে পার্সেল পরিবহন বেড়ে যায়। যদিও এটা লোকসান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছে কানাডা পোস্ট।