ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ অন্টারিওতে সংক্রমণের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন (ধরন)। খারাপ পরিস্থিতির কথা ধরে নিয়ে নতুন মডেলিংয়ে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এটা হলে এপ্রিলে ব্যাপকহারে ভ্যাকসিনেশন শুরু হওয়ার আগেই এ পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে প্রদেশটি। উচ্চ মাত্রায় সংক্রমণে সক্ষম ভাইরাসের নতুন ধরনটি প্রথম সনাক্ত হয় যুক্তরাজ্যে।
অন্টারিও মডেলিং কনসেনসাস টেবিলের সদস্য ও গণিতজ্ঞ ট্রয় ডে নতুন মডেলটি তৈরি করেছেন। নতুন ভাইরাসটি যুক্তরাজ্যে কি হারে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে সেই প্রাক্কলনের ভিত্তিতে মডেলিংটি তৈরি করেছেন তিনি।
ভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন সংক্রমণ দ্বিগুন করতে সময় নেয় ১০ থেকে ১৫ দিন। অন্যদিকে বিদ্যমান ধরনটি দ্বিগুন মানুষকে সংক্রমিত করতে ৪০ দিনের মতো লাগে।
ট্রয় ডে বলেন, বর্তমানে সংক্রমণ দ্বিগুন হতে দেড় মাস সময় লাগছে। এটা যদি ১০ দিনে নেমে আসে তাহলে তা হবে সত্যিই ভয়াবহ।
অন্টারিও সায়েন্স অ্যাডভাইজরি টেবিলের সদস্য ডগ ম্যানুয়েল বলেন, এটা যদি দ্রুত হারে সংক্রমণ ঘটাতে থাকে তাহলে আমাদের জন্য তা হবে অস্বস্তিকর। তবে সংক্রমণের গতি যদি ধীর হয় এবং দ্রুত ভ্যাকসিনেশন করতে পারি তাহলে আমরা ভালো অবস্থায় থাকবো।
করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইনের হুমকির বিষয়টি স্বীকার করেন অন্টারিও স্বাস্থ্য বিভাগের অ্যাসোসিয়েট চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. বারবারা ইয়াফ। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা খুবই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে আছি। অন্টারিওতে এখন পর্যন্ত নতুন স্ট্রেইনে আক্রান্ত ছয়জনকে সনাক্ত করা হয়েছে এবং আরও পরীক্ষা করছি। নতুন স্ট্রেইনে আরও অনেকে হয়তো আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু আমরা তা জানি না।
সেপ্টেম্বর থেকে অন্টারিও এবং এর সহযোগী ল্যাবরেটরিতে এখন পর্যন্ত যে ৭ হাজার নমুনার সিকোয়েন্সিং করা হয়েছে তাতে নতুন ধরন সনাক্ত হয়নি। এখন ডিসেম্বর থেকে আক্রান্তদের নমুনা সিকোয়েন্সিংয়ে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে।