মোহাম্মদ আলী বোখারী
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কানাডায় বিদেশ ফেরত সকলের জন্য ‘সেল্ফ আইসোলেশন’ বা ১৪ দিন বা দুই সপ্তাহকাল আলাদা থাকার ‘কোরান্টাইন আইন’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গতকাল বুধবার কানাডার সিনেটে স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্যাটি হাজডু সে কথা জানিয়েছেন। এতে আগে ‘সেল্ফ আইসোলেশন’-এর যে বিষয়টি বিদেশ ফেরতদের অনুরোধ করা হয়েছিল, তা এখন থেকে কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে। সেক্ষেত্রে শুধু জরিমানা নয়, বরং জেলে পাঠানোর বিধানটি কার্যকর থাকবে।
ওই আদেশের ফলে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে যাদের আগে ১৪ দিনের ‘সেল্ফ আইসোলেশন’-এ যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল, তারাসহ সকল প্রত্যাগতদের ক্ষেত্রে ওই আইনটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এতে গত বুধবার কানাডার সিনেটে স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্যাটি হাজডু জানান, সরকার ওই বিষয়ে প্রত্যাগতদের বারংবার বলে এসেছে, যাতে তারা নিজ নিজ বাড়ীতে ফিরে যায় এবং ১৪ দিন সকলের কাছ থেকে আলাদাভাবে থাকে। সেটা প্রতিপালন না হওয়ায়, এখন থেকে ‘কোরান্টাইন আইন’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যাতে জরিমানাসহ জেলে পাঠানোর বিধান থাকছে।
দেখা গেছে, গণমাধ্যমে বেশ কিছু সংবাদে উঠে প্রত্যাগতরা, এমনকী যুক্তরাষ্ট্র ফেরতরা সীমান্ত অতিক্রম করার পর পরই বাড়ীতে ফেরার পথে গ্রোসারি করতে মার্কেটে গেছেন। তাতে সুনির্দিষ্টভাবে মারখাম এলাকার করোনা আক্রান্ত এক মহিলা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কানাডায় ফিরতে সক্ষম হলেও পরদিন মারা গেছেন।
এতে একই সঙ্গে উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড জানিয়েছেন, বাধ্যতামূলক ‘আইসোলেশন’ বা আলাদা থাকার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে; তবে ‘অ্যাসেনশিয়াল ওয়ার্ক’ বা অপরিহার্য কাজে যুক্তদের ক্ষেত্রে তা আরোপ করা হবে না। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্যাটি হাজডু বুধবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘সিগনিফিকেন্ট পেনাল্টিজ’ বা উল্লেখযোগ্য পরিমাণের জরিমানা আরোপ করা হবে। অন্যদিকে, একই দিন কেন আগে তা প্রয়োগ করা হয়নি সেই প্রশ্নটি করা হলে, প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেন, ‘১৪ দিন বাড়ীতে থাকতে হবে সেটাই অপরিহার্য ছিল।’ কিন্তু সেই অনুরোধে আইনগত বাধ্যবাধকতা ছিল না সাংবাদিকদের এমন উপর্যুপরি প্রশ্নের মুখে তিনি জানান, সরকার কোরান্টাইন আইনটি এখন প্রয়োগ করেছে।
Comments